তিরুঅনন্তপুরম: প্রথা-রীতি ভেঙে আচমকা শবরীমালা মন্দিরে ঢুকে ইতিহাস গড়েছিলেন যে দুই মহিলা, তাঁদের একজন, কনকদূর্গা আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। শবরীমালা মন্দিরে ঢুকে দেবতা আয়াপ্পা দর্শনের পর নিরাপত্তার কারণে গত ২ সপ্তাহ গা ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে মালাপ্পুরম জেলার পেরিন্থালমান্নায় বাড়িতে ঢুকতেই রুখে দাঁড়ান ৪৪ বছরের কনকদূর্গার শাশুড়ি। কেন তিনি প্রথা লঙ্ঘন করে মন্দিরে পা রেখেছিলেন, কারণ জানতে চান তিনি। কনকদূর্গার দাবি, কথাকাটাকাটি হয়। তাঁর শবরীমালায় ঢোকার নিন্দা করেই থামেননি শাশুড়ি, চ্যালাকাঠ দিয়ে তাঁকে পেটানও। মাথায় চোট পাওয়ায় কনকদূর্গাকে স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। স্থানীয় টিভি চ্যানেলগুলিকে শাশুড়ির হাতে মার খাওয়ার কথা জানিয়েছেন কনকদূর্গা। যদিও কনকদূর্গাই তাঁকে মারধর করেছেন বলে পাল্টা দাবি করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন শাশুড়িও।
প্রসঙ্গত, কনকদূর্গার শ্বশুরবাড়ি তো বটেই, তাঁর আপন বাবা-মাও শবরীমালায় ঢোকার সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর সব বয়সের মেয়েদের কেরলের ওই মন্দিরে প্রবেশে অনুমতি দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ঘোষিত রায়ের পরবর্তী ঘটনাবলীতে উত্তপ্ত কেরল। শবরীমালায় ৫০ এর কম বয়সি মেয়েদের প্রবেশ কিছুতেই মানতে নারাজ রক্ষণশীল আয়াপ্পা ভক্তরা, কিছু ধর্মীয় গোষ্ঠী, বিজেপি, আরএসএস। কিন্তু তার তোয়াক্কা না করেই কয়েক শতকের পুরানো ঐতিহ্য ভেঙে, কট্টর দক্ষিণপন্থীদের হুমকি, হুঁশিয়ারি উড়়িয়ে গত ৩ জানুয়ারি মাঝরাতে শবরীমালায় ঢুকে পড়েন কনকদূর্গা ও বিন্দু নামে আরেক মহিলা। এতে মন্দিরের পবিত্রতা হানি হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে শুদ্ধকরণের জন্য গর্ভগৃহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন প্রধান পূজারী। সিপিএম বনাম বিজেপি-আরএসএস সংঘর্ষ অবধি গড়ায় বিষয়টি।