রেজিত কুমার পড়ান কালাডি এলাকার শ্রী শঙ্কর সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে। অভিযোগ, কাসারাগড এলাকায় এক বিশেষ ক্লাসে তিনি বলেন, যে মহিলারা জিনস, শার্ট পরে পুরুষদের মত হাবভাব করেন, তাঁদের ছেলেমেয়েরা রূপান্তরকামী বা নপুংসক হয়। কেরলে ৬ লাখের ওপর রূপান্তরকামী রয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এখানেই থামেননি রেজিত। তিনি আরও বলেন, যে সব সন্তানের বাবা মায়ের চরিত্রদোষ রয়েছে, তারা অটিজমে ভোগে, সেরিব্রাল পলসির শিকার হয়।
কী বৈজ্ঞানিক বিচার থেকে তিনি এ কথা বলেছেন তা অবশ্য জানা যায়নি।
চতুর্দিক থেকে ধিক্কারের পরেও রেজিত কুমার তাঁর মত থেকে এক চুলও সরেননি। তাঁর দাবি, না বুঝেসুঝেই লোকে তাঁর ওপর রাগারাগি করছে। ৪ ঘণ্টার ক্লাসে তিনি নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন, বলেছিলেন, নারী পুরুষের পোশাক সন্তান জন্মের ওপর প্রভাব ফেলে, এর বৈজ্ঞানিক প্রমাণও রয়েছে। মাইক্রোবায়োলজির ডক্টরেট এই অধ্যাপকের দাবি, তিনি শুধু বলতে চেয়েছিলেন, আঁটোসাঁটো পোশাক পরা মহিলাদের ভাবনাচিন্তাও পুরুষদের মত হয়, ফলে তাঁদের সন্তানদের জিনগত সমস্যা হতে পারে। খাবার, জামাকাপড়, প্রযুক্তি- সব কিছুই অনাগত সন্তানের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে, বিজ্ঞান এমনটাই বলছে।
তা ছাড়া ওই বক্তৃতা তিনি অন্তত ১ বছর আগে করেছিলেন, স্রেফ বিতর্ক সৃষ্টির জন্য নতুন করে তা নিয়ে হইচই হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।