নয়াদিল্লি: জম্মু-কাশ্মীরের জঙ্গি হামলা প্রসঙ্গে পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রীর। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলকে সেখানে পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
আর শান্তি বজায় রাখার অনুরোধ নয়। জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় আট সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যুর পর এভাবেই পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখল নয়াদিল্লি।
শনিবার জম্মু-কাশ্মীরে ঢুকে আটজন সিআরপিএফ জওয়ানকে মেরেছে লস্কর জঙ্গিরা। একইদিনে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সইদ। আর সাউথ ব্লকে যখন এই ঘটনা ঘিরে উদ্বেগ বেড়েছে, তখন ভারতে নিযুক্ত পাক হাই কমিশনার আব্দুল বাসিত এই ঘটনার নিন্দা না করে ইফতারে মেতে ওঠার পরামর্শ দিয়েছেন।
পাকিস্তানের উদ্দেশে কড়া ভাষায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেন, সীমান্তের ওপার থেকে আক্রমণ করা হলে তার পাল্টা জবাবও দেওয়া হবে। সন্ত্রাস পরাজিত হবেই। জঙ্গিদমনে আমরা সফল হবই। তিনি আরও বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে সিআরপিএফ জওয়ানরা অ্ত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেছেন। কনভয়ে হামলার পরও দু জঙ্গিকে খতম করতে পেরেছেন তাঁরা। নিহত আট জওয়ানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন তিনি।
পাকিস্তানের নাম না করলেও, পাল্টা কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রীর গলাতেও শোনা গিয়েছে কড়া হুঁশিয়ারির সুর।
শনিবারের জঙ্গি হামলার পর তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলকে জম্মু-কাশ্মীরে পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এই দলে রয়েছেন বর্ডার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সচিব সুশীল কুমার, অভ্যন্তরীন নিরাপত্তা বিভাগের বিশেষ সচিব মহেশ কুমার এবং কাশ্মীরের যুগ্ম সচিব জ্ঞানেশ কুমার।
সীমান্তে কোন ফাঁকফোকড় দিয়ে জঙ্গিরা ভারতে অনুপ্রবেশ করছে, তা খতিয়ে দেখে যত দ্রুত সম্ভব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রিপোর্ট দেবে এই দল। অন্যদিকে, আটজন জওয়ানের মৃত্যুর পর মাওবাদী উপদ্রুত এলাকা থেকে সিআরপিএফের প্রায় হাফ ডজন মাইন প্রতিরোধে সক্ষম গাড়ি জম্মু-কাশ্মীরে পাঠানো হয়েছে। সিআরপিএফের ডিজি কে দুর্গাপ্রসাদ জানিয়েছেন, এই গাড়িগুলি শীঘ্রই রাস্তায় নামানো হবে।