নয়াদিল্লি: সংখ্যালঘুদের মৌলিক পরিষেবার ব্যবস্থা করা, তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সুনিশ্চিত করতে নরেন্দ্র মোদি সরকারের জমানায় যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে কাজ হয়েছে বলে জানালেন মুখতার আব্বাস নকভি। কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়কমন্ত্রী সোমবার নবগঠিত সেন্ট্রাল ওয়াকফ কাউন্সিলের বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।
পুলওয়ামার সন্ত্রাসে নিহত জওয়ানদের স্মরণে দু মিনিট নীরবতা পালিত হয় সভায়।
দেশে স্বাধীনতার পর এই প্রথম সংখ্যালঘু সমাজের দুর্বল অংশের শিক্ষাগত ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থানমুখী স্কিল বা দক্ষতা বিকাশে দেশব্যাপী ওয়াকফ সম্পত্তির ব্যবহারে সরকার ১০০ শতাংশ আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে বলে জানান নকভি। আরও জানান, সংখ্যালঘুদের, বিশেষত, মেয়েদের শিক্ষাগত ক্ষমতায়ন, কর্মসংস্থানের জন্য স্কিলের উন্নয়নে মোদি সরকার সব মৌলিক পরিষেবার ব্যবস্থা করেছে। এইসব পরিষেবা থেকে বঞ্চিত দেশের পিছিয়ে পড়া অংশগুলিতে এই আয়োজন করা হয়েছে। নকভিকে উদ্ধৃত করে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশের ৩০৮টি জেলায় সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে মেয়েদের কর্মদক্ষতা বাড়াতে, আর্থসামাজিক বিকাশ সুনিশ্চিত করতে মৌলিক ব্যবস্থার জন্য যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে কাজ হয়েছে।
সংখ্যালঘুদের আর্থ সামাজিক ক্ষমতায়নে সারা দেশে ওয়াকফ সম্পত্তির ব্যবহারের জন্য প্রচারাভিযান সফল হয়েছে বলে জানান নকভি। বলেন, পুরো দেশে প্রায় ৫.৭৭ লক্ষ রেজিস্ট্রিকৃত ওয়াকফ সম্পত্তি আছে।
ওয়াকফ সম্পত্তি লিজ দেওয়ার নিয়মবিধি খতিয়ে দেখার জন্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জাকিউল্লাহ খানের নেতৃত্বে গঠিত ৫ সদস্যের কমিটির রিপোর্ট ও তার সুপারিশগুলি নিয়ে সোমবারের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানান নকভি। বলেন, কমিটির সুপারিশগুলি ওয়াকফ আইন সহজ হওয়া ও ওয়াকফ সম্পত্তির আরও ভাল ব্যবহার ও বিরোধ-বিতর্ক থেকে সেগুলির উদ্ধার সুনিশ্চিত করবে। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী জন বিকাশ কার্যকম কর্মসূচির আওতায় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক ওয়াকফ সম্পত্তিতে স্কুল, কলেজ, আইটিআই, স্কিল বাড়ানোর কেন্দ্র, বহু উদ্দেশ্যমুখী কমিউনিটি সেন্টার সদ্ভাব মন্ডপ, হুনার হাব, হাসপাতাল, ব্যবসা কেন্দ্র তৈরি করেছে।