উপাচার্যর মন্তব্য, জঙ্গি হত্যায় একটা বড় ইস্যু তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, ওয়ানিকে গ্রেফতার করা গেলে স্কুল পড়ুয়াদের কেরিয়ার নষ্ট হত না।
শর্মা বলেছেন, কাশ্মীরের পড়ুয়াদের নিষ্ঠা রয়েছে এবং তারা কেরিয়ার সচেতনও। কিন্তু নিগ্রহের শিকার হতে হয়েছে মনে করলে তারা লড়াই করে। উপাচার্য বলেছেন, কাশ্মীরী পড়ুয়ারা খুবই বুদ্ধিমান। কিন্তু তারা স্কুল-কলেজে যাচ্ছে না কেন, এটা ভাবতে খুবই আশ্চর্য লাগে।
উপাচার্যের মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করে বিজেপির যুব মোর্চা। এর পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্য এক বিবৃতিতে বলেছেন, তাঁর বক্তব্য শিক্ষা সংক্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গিতেই দেখা উচিত। তিনি বলেছেন, কারুর ভাবাবেগকে আহত করার জন্য তিনি ওই মন্তব্য করেননি। কতিপয় কায়েমি স্বার্থ নিজেদের উদ্দেশ্য সিদ্ধি করতে তাঁর বক্তব্যকে ভুলভাবে তুলে ধরা শুরু করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
উপাচার্য আরও বলেছেন, ‘আমাদের এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। এক জঙ্গির হত্যার ঘটনা যদি দীর্ঘ চার মাস ধরে এমন পরিস্থিতি তৈরি করে যেখানে পরিবার, বাবা-মা ও সন্তানরা একরোখা হয়ে যায় এবং কাশ্মীর ইস্যুর সমাধান চায়...এতে আমাদের সকলের চোখ খুলে যাওয়া উচিত। আমাদের কৌশলের পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে’।
বিজেপির যুব মোর্চা ওই মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে, একজন শিক্ষাবিদের তাঁর নিজের কাজেই মনোনিবেশ করা উচিত।