নয়াদিল্লি: দেশের আইনে না আটকালে যাঁরা ‘ভারত মাতা কী জয়’ বলার বিরোধী, তাঁদের মুণ্ডচ্ছেদ করতেন! বললেন বাবা রামদেব। হরিয়ানায় আরএসএস পরিচালিত এক সভায় এই হুঙ্কার দিয়ে ‘ভারত মাতা কী জয়’ স্লোগান ঘিরে চলতি বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করলেন যোগগুরু।

শনিবারই দারুল উলুম দেওবন্দ ভারত মাতা কী জয় স্লোগানের বিরুদ্ধে ফতোয়া ঘোষণা করেছে। তাদের বক্তব্য, ইসলামের সঙ্গে সাযুজ্য নেই এর। আমরা ভারত মাতা কী জয় বলব না। তবে দেশকে আমরাও খুব ভালবাসি। আমরা ‘হিন্দুস্তান জিন্দাবাদ’ বলতে পারি।

সম্প্রতি এআইএমআইএম নেতা আসাদুদ্দিন ওয়েইসি ‘গলায় ছুরি ধরলেও ভারত মাতা কী জয় বলব না’-মন্তব্য করেছেন। সরাসরি তাঁর নাম না করেই রামদেব গতকালের রোহতকের সদ্ভাবনা সভায় বলেন, মাথায় টুপি পরা একজন হঠাত্ বলে বসলেন, তিনি ‘ভারত মাতা কী জয়’ স্লোগান দেবেন না। আমরা দেশের আইন, সংবিধানের সম্মান করি। নয়তো ভারত মাতার অসম্মান করলে শুধু একজনের নয়, হাজার, লক্ষ লোকের মাথা কেটে নেওয়ার ক্ষমতা আছে আমাদের।

তীব্র প্রতিক্রিয়া ছড়িয়েছে তাঁর এই মন্তব্যে। কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় ঝা ট্যুইট করেছেন, #আরএসএসের সভায় বাবা রামদেবের মুণ্ডচ্ছেদের হুমকি হিংসায় ইন্ধন দিচ্ছে, ভীতির আবহাওয়া ছড়াচ্ছে। শ্রী মোদী, আপনি কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন, দেখার অপেক্ষায় রইলাম। এখনই!

রামদেবের দাবি, ‘ভারতমাতা কী জয়’ বলার সঙ্গে কোনও ধর্মের সম্পর্ক নেই, এর সঙ্গে জড়িত আছে মাতৃভূমির মর্যাদার প্রশ্নটি। তিনি বলেন, ভারত মাতা কী জয় বলা মানে কোনও ধর্মকে পুজো করা নয়। এটা দেশের মর্যাদা, গৌরব, সম্মানের ব্যাপার। আমরা হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান হতেই পারি, কিন্তু সবার আগে তো ভারতীয়।

রামদেবের বক্তব্য, ভারত মাতা কী জয় হল দেশ, মাতৃভূমির প্রতি দেশবাসীর অনুরাগ, ভালবাসা, আনুগত্যের প্রকাশ। কোনও ধর্ম যদি তার বিরোধিতা করে, সেটা জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী।