নয়াদিল্লি: বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের আবেদনে সাড়া দিল ভারত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে তসলিমাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁকে আরও একবছর ভারতে থাকার অনুমতি দিল সরকার।

প্রসঙ্গত, ভারতে থাকার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে আবেদন করেছিলেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন। ৫ বছরের জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি। ভারত সরকার প্রথমে তিন মাসের জন্য তাঁকে ভারতে থাকার অনুমতি দেয়। পরবর্তীতে ট্যুইটারে গোটা বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র নজরে আনার চেষ্টা করেন তসলিমা। তারপরই মেয়াদ বাড়িয়ে ১ বছর করা হয়। মাইক্রো ব্লগিং সাইটে সুইডেনের নাগিরকত্ব পাওয়া লেখিকা লেখেন, “মাননীয় অমিত শাহজি, আমার রেসিডেন্সিয়াল পারমিটের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কিন্তু, কেবল তিন মাসের অনুমোদনে আমি হতবাক। ৫ বছরের জন্য আবেদন করেও আমি এক বছরেরই অনুমোদন পাই। সম্মানীয় রাজনাথজি (সিংহ) আমাকে ৫০ বছরের অনুমোদন দেওয়ার কথা বলেছিলেন। ভারত আমার আশ্রয়। আমি নিশ্চিত, আপনি আমার সঙ্কটে পাশে দাঁড়াবেন।” ট্যুইটারে অমিত শাহ-র কাছে তাসলিমার আবেদন, “প্রত্যেকবার আমি ৫ বছরের আবাসিক অনুমোদনের জন্য আবেদন করি এবং ১ বছরের অমুমোদন পাই। এবারও সেই ৫ বছরের জন্য আবেদন করে কেবলমাত্র ৩ মাসের অনুমোদন পেয়েছি। আমাকে অন্তত ১ বছরের অনুমোদন দেওয়া হোক।”

এই ট্যুইটের পরই তাসলিমার ভারতে থাকার মেয়াদ বাড়িয়ে দেয় কেন্দ্র। যদিও তাঁকে পাকাপাকিভাবে ভারতে বসবাস করার বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি ভারত সরকার।

৫৬ বছরের এই লেখিকার জন্ম বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলায়। সেখানে 'ইসলাম বিরোধী' লেখালেখির জন্য তিনি মৌলবাদীদের হুমকির মুখে পড়েন। তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। এরপরই নিজের মাতৃভূমি ছাড়তে বাধ্য হন তসলিমা। চলে আসেন কলকাতায়। এখানেও ২০০৭ সালে তাঁর বিরুদ্ধে কট্টরপন্থীদের একাংশ বিক্ষোভ শুরু করে। যার ফলে কলকাতায়ও বেশিদিন থাকতে পারেননি তিনি। পরে সুইডেনের নাগরিকত্ব নেন তসলিমা। অতীতে এই লেখিকা একাধিকবার জানিয়েছেন, ভারত থেকে তাঁকে বিতাড়িত করা হলে তিনি আশ্রয়হীন হয়ে পড়বেন এবং তাঁর ‘পরিচিতি সঙ্কট’ তৈরি হবে।