নয়াদিল্লি: অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী রামকিষেণ গ্রেওয়ালের আত্মহত্যা নিয়ে রাহুল গাঁধী আপাতত প্রচণ্ড উদ্বেগ দেখালেও ইউপিএ আমলে এ ব্যাপারে তাঁদের কোনও হেলদোল ছিল না। তখন এ ব্যাপারে বারবার প্রশ্ন করলেও সাড়া পাওয়া যেত না তাঁদের। এমনটাই অভিযোগ করলেন রাজ্যসভা সাংসদ রাজীব চন্দ্রশেখর। তিনি বলেছেন, এক পদ এক পেনশন চালু করা নিয়ে ইউপিএ সরকারকে একের পর এক চিঠি লেখেন তিনি। কোনওটারই সদর্থক উত্তর মেলেনি।

৪ পাতার খোলা চিঠিতে কর্নাটক থেকে রাজ্যসভায় যাওয়া এই নির্দল সাংসদ অভিযোগ করেছেন, এক পদ এক পেনশন নিয়ে ২০১০ থেকে ১২-র মধ্যে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে ৫টি চিঠি লেখেন তিনি। ২০১১-য় দুটি চিঠি লেখেন ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গাঁধীকে। ২০১০ থেকে ১২-র মধ্যেই আরও চারটি চিঠি তখনকার প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে ও ২০১১-য় চিঠি লেখেন রাহুল গাঁধীকে। প্রতিটি চিঠিরই এক উত্তর ছিল। হয় ‘সম্ভব নয়’, অথবা কোনও জবাব আসেনি।

তিনি আরও লিখেছেন, এখন এক পদ এক পেনশন নিয়ে হট্টগোল করা এ কে অ্যান্টনি ২০০৮-এ প্রতিরক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন পরিষ্কার জানিয়ে দেন, এক পদ এক পেনশন দাবি মেনে নেওয়া ইউপিএ সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়।

আত্মঘাতী প্রাক্তন সেনাকর্মী রাম কিষেণ গ্রেওয়ালের পরিবারকে কেন্দ্র অসম্মান করেছে বলে কংগ্রেসের হইচইয়ের মধ্যেই সামনে এসেছে চন্দ্রশেখরের এই চিঠি। গ্রেওয়ালের পরিবারকে অসম্মানের অভিযোগে প্রতিবাদ মিছিল করে কংগ্রেস। মিছিলে যোগ দেওয়া রাহুল গাঁধী দাবি করেন, তাঁকে আটক করে দিল্লি পুলিশ, যদিও পুলিশের বক্তব্য, তাঁকে শুধু আটকায় তারা, আটক করেনি।