নয়াদিল্লি: যখনই যিনি প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, দল মত বিচার না করেই পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি করার চেষ্টা করেছেন । কিন্তু সমস্যা হল প্রতিবেশী রাষ্ট্রের এ ব্যাপারে কোনও সদিচ্ছা নেই। ইসলামাবাদে সার্ক বৈঠক সেরে ফিরে সংসদে দাঁড়িয়ে এ কথা বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। দলমত নির্বিশেষে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল সন্ত্রাসের প্রশ্নে এককাট্টা হওয়ায় তাদের অভিনন্দন জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই অবস্থানই দেখিয়ে দিচ্ছে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ভারত কতটা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তিনি স্বীকার করে নেন, তাঁর ভাষণের সম্প্রচার আটকানোর মরিয়া চেষ্টায় ইসলামাবাদ ভারতীয় সাংবাদিকদের সার্ক সমাবেশে প্রবেশাধিকার দেয়নি। তবে এ ব্যাপারে প্রটোকল ভাঙা হয়নি বলে পাকিস্তানের দাবি ঠিক কিনা তাঁর জানা নেই। এর আগের সার্ক বৈঠকগুলিতে কী প্রটোকল মানা হয়, তা বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলে জানবেন তিনি।


নিজের ভাষণ সেরে যেভাবে মধ্যাহ্নভোজ না করেই রাজনাথ ঝটিতি দিল্লির বিমান ধরেন, তার মাধ্যমে সন্ত্রাসকে মদত দেওয়া নিয়ে পাকিস্তানকে নজিরবিহীন কড়া বার্তা দেওয়া গেছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্য, পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী সকলকে মধ্যাহ্নভোজে আমন্ত্রণ জানিয়ে নিজের গাড়ি করে চলে যান। তখন বেরিয়ে যান তিনিও। এ জন্য তাঁর কোনও আফশোস নেই কারণ তিনি ওখানে লাঞ্চ সারতে যাননি।

তাঁর কথায়, দলমত নির্বিশেষে এ দেশের প্রত্যেক প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতির চেষ্টা চালিয়েছেন। রাজনাথের তির্যক মন্তব্য, ইয়ে পড়োশি হ্যায় কি মানতা হি নেহি।

এর আগে এদিন দলমতনির্বিশেষে সব রাজনৈতিক দল পাকিস্তানে রাজনাথের কণ্ঠরোধের যে চেষ্টা হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা করে। কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ বলেন, পাকিস্তান যদি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রটোকল মত সম্মান ও মর্যাদা না দেয়, তা মেনে নেওয়া যায় না। জেডিইউ নেতা শরদ যাদব বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি পাকিস্তানের ব্যবহার অত্যন্ত নিন্দনীয়, পুরো দেশ এই ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ। উল্টোদিকে বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী বলেন, এতদিন লোকচক্ষুর আড়ালে, গোপনে ভারতকে টুকরো করার চেষ্টা করলেও এবার প্রকাশ্যে, প্রতিদিন ভারতকে ভেঙে ফেলার কথা বলছে পাকিস্তান।