মুম্বই: চার হাজার তিনশো কোটি কালো টাকা মজুত করার চেষ্টা এবং তা তছরুপ করার অভিযোগ উঠল রানা কপূরের বিরুদ্ধে। ধৃত ইয়েস ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তাঁকে আরও জেরা করার জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়েছে ইডি।


সোমবার ছুটির দিন থাকলেও বিশেষ আদালতের বিচারপতি এস আর সালুঙ্খে ইডি-র সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন। ১১ মার্চ পর্যন্ত ইডি-র হেফাজতেই থাকবেন রানা।

সোমবারও রাণা কপূরের বাড়ি ও  দফতর-সহ মুম্বইয়ের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। গোটা ঘটনার তদন্তে এখনও পর্যন্ত যে এফআইআর দায়ের করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা, তাতে রাণা কপূর, তাঁর স্ত্রী বিন্দু এবং তিন মেয়ে রাধা, রোশনি এবং রাখির নাম রয়েছে। নাম রয়েছে ডিএইচএফএল, ডু ইট আরবান ভেঞ্চার্স (ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড), আরএবি এন্টারপ্রাইজেস (ইন্ডিয়া) প্রাইভেট লিমিটেড, মর্গ্যান ক্রেডিটস প্রাইভেট লিমিটেড এবং আরকেডব্লিউ ডেভলপার্স প্রাইভেট লিমিটেড—এই পাঁচ সংস্থা ও তাদের প্রোমোটারদের।

ওই এফআইআরে বলা হয়েছে, ২০১৮-র এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে ডিএইচএফএল-এর কাছ থেকে ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকার ঋণপত্র কিনে নেয় ইয়েস ব্যাঙ্ক। এর পরই ডু ইট আরবান ভেঞ্চার্স সংস্থাকে নির্মাণ খাতে ৬০০ কোটি টাকা ঋণ দেয় ডিএইচএফএল। ওই ডু ইট আর্বান ভেঞ্চার্স সংস্থা আরএবি এন্টারপ্রাইজের সহযোগী সংস্থা, যার ডিরেক্টর আবার রাণা কপূরের স্ত্রী বিন্দু। আরএবি এন্টারপ্রাইজের ১০০ শতাংশের অংশীদার তিনি।

এর পাশাপাশি বান্দ্রা জমি পুনরুদ্ধার প্রকল্পের জন্য আরকেডব্লিউ ডেভলভার্স প্রাইভেট লিমিটেডকেও ইয়েস ব্যাঙ্ক ৭৫০ কোটি টাকা র ঋণ মঞ্জুর করে বলে তদন্তে উঠে এসেছে। এই আরকেডব্লিউ ডেভলপার্স সংস্থা আবার ডিএইচএফএল-এর গোষ্ঠীভুক্ত। আরকেডব্লিইউ ডেভলপার্সের মাধ্যমে পুরো টাকাটাই ডিএইচএফএল-এর কোষাগারে গিয়ে পড়ে, জমি পুনরুদ্ধারের কাজে যার মধ্যে থেকে একটি টাকাও খরচ হয়নি।