আজ বিহারের রাজধানী পটনায় যে প্রধান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, সেখানে নীতীশের গরহাজিরা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ, বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদী সহ অনেক বিজেপি নেতা এই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন। সেখানে নীতীশের না থাকার বিষয়টিকে খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করছে জেডিইউ ও বিজেপি। জেডিইউ-এর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ২০১৫ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জ আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের কথা ঘোষণা করার আগে থাকতেই রোজ যোগাসন করেন নীতীশ। তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের রাজনৈতিক ব্যাখ্যা করা ঠিক হবে না। রবিশঙ্কর ও সুশীল আবার বলেছেন, যেখানেই করুন না কেন, মানুষের রোজ যোগাসন করাটাই গুরুত্বপূর্ণ। কোনও ব্যক্তির হাজিরা বা গরহাজিরা নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়।
মুঙ্গেরের বিখ্যাত বিহার স্কুল অফ যোগা থেকে যোগাসন শিখেছেন নীতীশ। তিনি নিয়মিত যোগাসনও করেন। তবে ২০১৫ থেকে প্রতি বছর ২১ জুন জাঁকজমক করে যোগ দিবস পালনের সমালোচনা করেন তিনি। যদিও এনডিএ-তে ফেরায় এবার তিনি যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে হাজির হতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত পাটলিপুত্র স্পোর্টস কমপ্লেক্সের অনুষ্ঠানে দেখা গেল না বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে।
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে বলেছেন, ‘কিছু গোষ্ঠী ধর্মের নামে যোগাসনকে কুক্ষিগত করতে চাইছে। এই ধরনের মিথ্যা প্রচার হলে সাধারণ মানুষ যোগাসন করবেন না। এর ফলে যোগাসনের জনপ্রিয়তা কমবে। শরীর ও মনের পক্ষে যোগাসন উপকারী। মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে যোগাসনের মতো অন্য কোনও শারীরিক কসরত নেই।’