মুখ্যমন্ত্রী মুখ্য সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করতে। কমিটির মাথায় থাকবেন একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, ৪৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। নগরোন্নয়ন মন্ত্রী সুরেশ খান্না ও সেচ মন্ত্রী ধর্মপাল সিংহকে প্রকল্পটির কাজকর্মে নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তদন্তের এই নির্দেশে ঝঞ্ঝাটে পড়তে পারে পূর্বতন এসপি সরকার, কারণ অখিলেশের আমলে এই প্রকল্পটি নিয়ে মাতামাতি করা হয় সবচেয়ে বেশি। ভেতরের খবর, তদন্ত হলে তাঁর বহু সরকারী, ঘনিষ্ঠ সরকারি আধিকারিক ও দলীয় নেতা ফাঁসতে পারেন।
বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়, প্রকল্পটির জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১,৫১৩ কোটি টাকা। তার মধ্যে খরচ হয়ে গিয়েছে ১,৪৩৫ কোটি টাকা অর্থাৎ প্রায় ৯৫ শতাংশ। কিন্তু কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ৬০ শতাংশ। এতে অসন্তোষ প্রকাশ করে যোগী বলেন, কেন সময়মত প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি আর টাকা কীসে খরচ হয়েছে, সে ব্যাপারেও তদন্ত হবে।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, নতুন করে মূল্যায়ন মাফিক এই প্রকল্পের খরচ বেড়ে দাঁড়াবে ২,৪৪৮ কোটি টাকা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের অধীনে বিভিন্ন কাজের যৌক্তিকতা খতিয়ে দেখে, অপ্রয়োজনীয়গুলি বাদ দিতে। পাশাপাশি দেখতে হবে, যত তাড়াতাড়ি যাতে প্রকল্পটি শেষ করা যায়।
গোমতী নদীর দূষণ অত্যন্ত বেশি বলে জানিয়ে তিনি বলেন, যদি বিষয়টি প্রথমেই দেখা হত, তাহলে ভাল হত।
নদীর কাছে একটি নিকাশি ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পিলিভিট ও লখিমপুর খেরি জেলার বেশ কয়েকটি কারখানার বর্জ্য এসে পড়ছে এই নদীতে, তা যেন ওই প্ল্যান্টে জমা হয়, তা দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।