মেহসানা: এতদিন দেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই পটেলকে স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতবর্ষে জাতীয় সংহতি অটুট রাখার প্রশ্নে কঠোর অবস্থানের জন্য 'আয়রন ম্যান' বা 'লৌহমানব' বলা হত। এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে মহাত্মা গাঁধী, পটেলের সঙ্গে তাঁর তুলনা করলেন, দেশে উন্নয়নে গতি আনায় তাঁকে 'লৌহ মানব' বললেন যোগী আদিত্যনাথ। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মেহসানার বিশনগরে সাধুদের এক সমাবেশে বলেন, স্বাধীনতার ঠিক পরই সৌরাষ্ট্র সফরে এসে সোমনাথ মন্দিরের সংস্কারের শপথ নিয়েছিলেন লৌহমানব সর্দার পটেল। দেশের অন্য অংশের জন্যও এই শপথ নেওয়া যেত, কিন্তু এটাই গুজরাতের মাটির গুণ, সেই শুদ্ধ মাটিই কঠিন সময়ে মহাত্মা গাঁধী, লৌহমানব পটেলের মতো নেতা উপহার দিয়েছে দেশকে। আর আজ দেশ লৌহমানব নরেন্দ্র মোদীজীর নেতৃত্বে জোর গতিতে ছুটছেদুনিয়ায় এক নম্বর হওয়ার লক্ষ্যে, যা আমরা আগে কোনওদিন কল্পনাও করিনি। তিনি যে নাথ সম্প্রদায়ের সন্ন্যাসী, তাদেরই এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বিশনগরে এসেছেন উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষনাথ মঠের প্রধান পূজারী আদিত্যনাথ। এর আগে মহন্ত গুলাবনাথের মৃত্যুর পর ২০১৬-র ডিসেম্বরে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি অনুষ্ঠানে বলেন, দেশে জাতপাতের ভিত্তিতে বিভাজন না থাকলে হয়তো সোমনাথ মন্দির বিদেশি হামলাকারীদের হাতে আক্রান্ত হত না। জাতপাত, অস্পৃশ্যতা ভারতকে ভেঙে টুকরো টুকরো করেছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এর বিরুদ্ধে লড়তে হবে। ধর্মকে বাঁচানোর শপথ নিতে আবেদন করছি সন্তদের। মোদীজী দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। আদিত্যনাথ এও বলেন, মোদীর সব কা সাথ, সব কা বিকাশ স্লোগান সনাতন ধর্মেরই ফল, যা সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে চলার কথা বলে। এই প্রথম আমরা এই মর্মে শপথ নিয়ে পলিসি তৈরি করছি যে, একজন ভারতীয়, তিনি যে সম্প্রদায়েরই হোন, থাকার জায়গা পাবেন। আজ প্রতিটি গরিব মাথার ওপর ছাদ, খাবার, বিদ্যুত পাচ্ছে। উন্নয়ন একেবারে প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছে গিয়েছে।