কানপুর: উত্তরপ্রদেশে দুষ্কৃতীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ৮ পুলিশকর্মী নিহত হওয়ার ঘটনার এবার কাঠগড়ায় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য। গোটা ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের শান্তিশৃঙ্খলা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। রাহুল গাঁধী বলে দিয়েছেন, এই ঘটনা থেকে প্রমাণ পাওয়া যায় যে, উত্তরপ্রদেশে ‘গুন্ডারাজ’ চলে।


বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কানপুরের কাছে শিবরাজপুরে বিকাশ দুবে নামে এক কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করতে গিয়েছিল পুলিশ টিম। রাত ১টা নাগাদ এলাকায় ঢোকার পর একটি বাড়ির ছাদ থেকে পুলিশের ওপর এলোপাথাড়ি গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা।  তাতেই মৃত্যু হয় আট জন পুলিশ কর্মীর। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ডেপুটি পুলিশ সুপার দেবেন্দ্র মিশ্রও।

এই ঘটনার পর দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন আদিত্যনাথ। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশকে। শহীদ পুলিশ কর্মীর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা ব্যাক্ত করেন। সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, “পুলিশ কর্মীদের বলিদান ব্যর্থ হবে না। অপরাধীদের কড়া শাস্তি দেওয়া হবে।“ মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের ডিজিপি এইচসি অবস্থি আর মুখ্য সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পর অভিযুক্ত বিকাশ দুবেকে ধরার জন্য পুলিশ কোমর বেঁধে নেমেছে।

তবে ঘটনার পর থেকে কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছেন আদিত্যনাথ। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন রাহুল গাঁধী। তাঁর প্রশ্ন, পুলিশই যেখানে নিরাপদ নয়, সেখানে সাধারণ মানুষ কীভাবে সুরক্ষিত? ওয়েনাডের সাংসদ ট্যুইট করেছেন, “এই ঘটনা থেকেই প্রমাণিত হয় যে, উত্তরপ্রদেশে গুন্ডারাজ চলছে।” কড়া ভাষায় ঘটনার নিন্দা করেছেন উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব প্রিয়ঙ্কা গাঁধীও। তিনি অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন।