শ্রীনগর: অভিযোগ ছিল, ছেলেটি ধর্ষণ করেছে মেয়েটিকে। পঞ্চায়েত তাই ফতোয়া দেয়, অভিযুক্তকে অভিযোগকারিণীর মূত্রপান করতে হবে, তাহলেই কেস ডিসমিস। কিন্তু এমন হুকুম মেনে নিতে পারেনি জম্মুর রাজৌরি জেলার বাসিন্দা ২৫ বছরের ফজল হুসেন। জলে ডুবে আত্মহত্যা করেছে সে।


মৃত্যুর আগে ৩৭.৩২ মিনিটের দীর্ঘ এক অডিও বার্তা রেকর্ড করে যায় ফজল। তাতে সে অস্বীকার করে যাবতীয় অভিযোগ। তারপর স্থানীয় তারগেন গ্রামের সমর সার ঝিলে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করে।

অডিও বার্তায় ফজল বলেছে, ঈশ্বর জানেন, আমি কিছু করিনি। কোনও অবৈধ সম্পর্ক ছিল না। কিন্তু ওরা বলল, মেয়েটির মূত্রপান করতে হবে। কোরান পাঠ করা একজন মুসলমানের পক্ষে কীভাবে তা করা সম্ভব! আমাকে ওদের বাড়িতে ডাকা হয়েছিল, সেখানেই আরও কয়েকজন ছিল, মনে হল পঞ্চায়েত। তারা বলল, আমাকে মূত্রপান করতে হবে।

নাম না জানা কয়েকজনের বিরুদ্ধে তীব্র অভিযোগ শানিয়ে ফজল বলেছে, তারা সত্য গোপন কছে। একজন মুসলমান প্রচারকও ছিলেন তাদের মধ্যে, তিনিও এই মূত্রপানের ফতোয়ার বিরুদ্ধে একটা কথাও বলেননি।

তার দেহ ঝিল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তারা। ময়নাতদন্তের পর দেহ তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েতের ওই ফতোয়ার পিছনেও আসল ঘটনা ও তারপর কেন তা আত্মহত্যা পর্যন্ত গড়াল জানতে তারা আলাদা করে আর একটি তদন্ত শুরু করেছে। তবে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।