নয়াদিল্লি: নিজের বিবাহিতা প্রেমিকাকে খুনের পর আত্মহত্যা যুবকের। ২৮ বছরের এই যুবকের সন্দেহ ছিল যে, প্রেমিকা তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করছে। এই কারণেই প্রেমিকাকে খুন করেন তিনি। প্রেমিকা তাঁর স্বামীর ঘর ছেড়ে পালিয়ে আসার পর এই ঘটনা ঘটে।
দিল্লির নিউ অশোক নগর এলাকায় গত মঙ্গলবার এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। দেহ দেখেই স্পষ্ট ছিল, অত্যন্ত নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে তাঁকে। মৃতের পরিচয় জানতে পারে পুলিশ। মনিকা নামে ওই মহিলা গত ৯ মার্চ থেকে নিখোঁজ ছিলেন।
পুলিশ যখন ওই মহিলার হত্যার তদন্ত চালাচ্ছে, তখন উত্তরপ্রদেশের শামলি থেকে একটা যোগসূত্র উঠে আসে। শামলিতে ২৮ বছরের এক যুবক ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তাঁর কাছ থেকে ২০ পাতার একটি সুইসাইড নোট পাওয়া যায়। নোটে তিনি মনিকাকে খুনের কথা স্বীকার করেন।
মনিকার বিয়ে হয়েছিল সিলমপুরের বাসিন্দা দীপক কুমারের সঙ্গে। দুই কন্যা ও এক ছেলেকে নিয়ে হাসিখুশি পরিবার ছিল তাঁর। এরইমধ্যে গাজিয়াবাদের বাসিন্দা কাঠের মিস্ত্রি পবনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পবন নিউ অশোক নগরে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল। সেখানেই তাঁদের দেখাসাক্ষাত্ হত।
সুইসাইড নোটে পবন লিখেছেন, অন্য কোনও ব্যক্তির সঙ্গে মনিকার সম্পর্ক রয়েছে বলে তাঁর সন্দেহ ছিল। গত ৯ মার্চ দুজনের মধ্যে এ নিয়ে বচসা বেঁধে যায়। এরপরই মনিকাকে খুন করে পালিয়ে যান তিনি।
পুলিশ এই ঘটনায় পবন, মনিকা ও দীপকের পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পবন ও মনিকার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।