নয়াদিল্লি: কথা ছিল তিনি ফিরবেন। কিন্তু তিনি সোমবার দেশে ফেরেননি। তিনি আদৌ ফিরবেন কিনা, তা নিয়ে নানা মহলে জল্পনা। এই পরিস্থিতিতে ইসলামি প্রচারক জাকির নায়েককে নিয়ে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য! সূত্রের খবর, গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, ২০১২ সাল পর্যন্ত বিদেশ থেকে ১৫ কোটি টাকা অনুদান পেয়েছে জাকিরের সংস্থা।


ইতিমধ্যেই মুম্বইয়ে তাঁর সংস্থা  ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। বিতর্কিত এই ধর্মপ্রচারকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠছে নানা মহল থেকে। মঙ্গলবার তাঁর সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার, সকাল সাড়ে এগারোটায় মুম্বইয়ের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের কাফে প্যারাডে সাংবাদিক বৈঠক করবেন জাকির। তবে সশরীরে নয়! ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে!

জাকিরের এই সিদ্ধান্ত নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। তাঁদের বক্তব্য, আত্মপক্ষ সমর্থনে তাঁর যদি কিছু বলার থাকে, তিনি তো দেশে ফিরেই তা বলতে পারতেন! তা না করে ভিনদেশে বসে ভিডিও কনফারেন্স কেন?

এত কিছুর পরেও অবশ্য জাকিরের পাশে দাঁড়িয়েছে অল ইন্ডিয়া মজলিস-এ-এতহাদুল-মুসল্লিমিন!

এআইএমআইএম-এর মতো একই সুরে রবিবার জাকিরের পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছিল, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগের জাতীয় সম্পাদককেও। এই অবস্থানের কড়া বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস। ঢাকার গুলশনে হামলাকারী এক জঙ্গি তাঁর ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন, এই অভিযোগ সামনে আসার পর নতুন করে বিতর্কে জড়ান জাকির নায়েক। তার চ্যানেল নিষিদ্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। জাকিরের বিতর্কিত বক্তৃতাগুলি ইন্টারনেট থেকে সরিয়ে ফেলার প্রস্তুতি শুরু করেছে বাংলাদেশ।

এদেশেও জাকির নায়েকের ভাষণ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।