নয়াদিল্লি: জঙ্গিপনায় উৎসাহিত করা ইসলামি ধর্মগুরু জাকির নায়েকের সংগঠন ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন ২০১১-য় ৫০ লাখ টাকা দেয় সনিয়া গাঁধীর রাজীব গাঁধী ফাউন্ডেশনকে। সনিয়া- রাহুল দু’জনেই এই সংস্থার ট্রাস্টি বোর্ডে রয়েছেন। কংগ্রেস এই অর্থসাহায্যের কথা স্বীকার করে নিয়েছে কিন্তু তাদের দাবি, মাসপাঁচেক আগে ওই টাকা ফিরিয়ে দেয় তারা। যদিও জাকির নায়েকের দাবি, এমন কোনও টাকা তাদের সংগঠনে ফেরত আসেনি।


ঢাকায় কাফে হামলার জঙ্গিরা জাকির নায়েকের বক্তৃতায় অনুপ্রেরণা পাওয়ার খবর জানাজানি হওয়ার পরেই জাকিরের কাজকর্ম নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। জানা যায়, ধর্মালোচনার আড়ালে মুসলিম যুবসম্প্রদায়কে জঙ্গি কাজকর্মে উৎসাহ দিচ্ছিল সে, সঙ্গে চলছিল ধর্মান্তরকরণ। এই খবর প্রকাশ্যে আসার সময় মধ্যপ্রাচ্যে ছিল জাকির, সে এখনও দেশে ফেরেনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, কোনও বিদেশি অর্থসাহায্য পেতে হলে তার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আইআরএফ-কে অবশ্যই কেন্দ্রীয় অনুমতি নিতে হবে।

আইআরএফের অডিটে মিলেছে বেশ কিছু অসঙ্গতি। দেখা গেছে, আইআরএফে যে বিদেশি অর্থ ঢুকেছে, তার একটা অংশ গিয়েছে রাজীব গাঁধী চ্যারিটেবল ট্রাস্টে। ইনস্পেকশন রিপোর্টে এর উল্লেখ থাকলেও সরকারি কর্মীরা এ ব্যাপারে একেবারেই নাড়াচাড়া করেননি। ফরেন কন্ট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্ট বা এফসিআরএ-র দায়িত্বে থাকা যুগ্মসচিবের কাছে পৌঁছয়ইনি বিষয়টি।

আইআরএফের অবশ্য দাবি, তারা উচ্চশিক্ষা, চিকিৎসা, ডাক্তারি ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি সহ নানা বিষয়ে অর্থসাহায্য দেয়। সেইমতো রাজীব গাঁধী চ্যারিটেবল ট্রাস্টকেও সাহায্য করেছে তারা। কংগ্রেসও স্বীকার করে নিয়েছে, এই টাকা তারা পেয়েছিল। তবে তাদের দাবি, সাম্প্রতিককালে জাকিরের কার্যকলাপ নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় তা ফেরত দিয়েছে তারা।