রেলের নতুন টাইম টেবিলে বন্ধ করা হতে পারে বেশ কিছু ট্রেন, কমবে স্টপেজও
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ | 05 Sep 2020 08:04 AM (IST)
ট্রেন চলাচলের সময় নিয়ে বড়সড় সংস্কার করতে চলেছে ভারতীয় রেল। এজন্য রেলওয়ে জিরো বেসড টাইম টেবিল তৈরি করেছে। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিকভাবে শুরু হওয়ার পরই তা কার্যকরী করা হবে। যদিও করোনা সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে এখন শুধু স্পেশ্যাল ট্রেনই যেমন চলছে, তেমন চলবে।
নয়াদিল্লি: ট্রেন চলাচলের সময় নিয়ে বড়সড় সংস্কার করতে চলেছে ভারতীয় রেল। এজন্য রেলওয়ে জিরো বেসড টাইম টেবিল তৈরি করেছে। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিকভাবে শুরু হওয়ার পরই তা কার্যকরী করা হবে। যদিও করোনা সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে এখন শুধু স্পেশ্যাল ট্রেনই যেমন চলছে, তেমন চলবে। বিগত কয়েক দশক ধরেই রাজনৈতিক দাবির কারণে ট্রেনগুলির স্টপেজ বাড়ানো হয়েছে। ভোট ব্যাঙ্ক ও নেতাদের বিরোধের আশঙ্কায় অনেক চাহিদাহীন ট্রেনগুলিও চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে, যেগুলির অর্ধেকের বেশি আসন খালি থাকে। এ জন্য এমন প্রায় ৫০০ ট্রেন চিহ্নিত করে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। রেল সূত্রে খবর, নয়া টাইম টেবিলে খেয়াল রাখা হয়েছে যাতে বন্ধ ট্রেনগুলির প্রভাব যাত্রীদের ওপর না পড়েয যাত্রীদের জন্য অন্য ট্রেনের বিকল্প মজুদ থাকবে। কোন কোন স্টপেজ বন্ধ করা হবে.... সূত্রের খবর, বিভিন্ন ট্রেনের প্রায় ১০ হাজার স্টপেজ বন্ধ করা হচ্ছে। এরমধ্যে বেশিরভাগই ধীর গতির প্যাসেঞ্জার ট্রেনের। যে প্যাসেঞ্জার ট্রেনগুলির কোনও হল্ট স্টেশনে কমপক্ষে ৫০ যাত্রী ওঠা-নামা রয়েছে, সেগুলি বন্ধ হবে না। কিন্তু যেখানে ৫০-র কম যাত্রী ওঠা-নামা করে, এমন স্টপেজগুলি নয়া টাইম টেবিলে থাকছে না। বাড়বে ট্রেনের গতি চাহিদাহীন ট্রেন ও কয়েকটি ট্রেনর স্টপেজ কমানোয় বেশ কিছু ট্রেনের গতি বাড়বে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, নয়া টাইম টেবিলে কয়েকটি মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনকে সুপারফাস্ট ট্রেন হিসেবে গন্য করা হবে। যে ট্রেনগুলির গড় গতি ঘন্টায় ৫৫ কিমি, সেগুলিকে সুপারফাস্ট ট্রেন বলা হয়। তাই কিছু ট্রেন সুপারফাস্ট ট্রেন হিসেবে গন্য হলে ভাড়া হিসেবে ট্রেনের কিছু বাড়তি আয়ও হবে। জিরো বেসড টাইম টেবিল কী জিরো বেসড টাইম টেবিল এমন হয় যখন টাইম টেবিল তৈরির সময় ধরে নেওয়া হয়, ট্রাকে কোনও ট্রেন থাকে না। অর্থাত্, প্রত্যেক ট্রেনের নতুন ট্রেনের মতো সময়সূচী দেওয়া হয়। যেখানে এক-এক করে সমস্ত ট্রেনের চলার সময় নির্ধারণ করা হয়। এতে প্রত্যেক ট্রেনের চলার ও কোনও স্টেশনে থামার নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হয়, যাতে ওই ট্রেন অন্য কোনও ট্রেনের কারণে লেট না হয় এবং একইসঙ্গে অন্য ট্রেনের সময়সূচীকে প্রভাবিত না করে। সাধারণত নয়া টাইম টেবিল জুলাই মাসে চালু হয়ে থাকে। এ বছর করোনা সংকটের কারণে তা করা সম্ভব হয়নি। আসলে প্রতি বছরই নতুন ট্রেন শুরু হয়, যেগুলিকে সেই বছরের টাইম টেবিলে জায়গা করে দিয়ে হয়। এ জন্য প্রতি বছর নতুন টাইম টেবিল তৈরির প্রয়োজন হয়। যদিও নতুন টাইম টেবিলে সামান্য হেরফের হয়ে থাকে। কিছু ট্রেনের সময় ৫ মিনিট থেকে সবচেয়ে বেশি ১৫ মিনিট পর্যন্ত হেরফের করা হয়ে থাকে। লকডাউনের সময় ট্র্যাকের মেরামতি করেছে রেল করোনা সংকটের সময় মাত্র ২৩০ স্পেশ্যাল ট্রেনই চলেছে। এ জন্য নতুন টাইম টেবিল চালু করা অনেকটাই সহজ। লকডাউন থেকে এখনও পর্যন্ত বেশিরভাগ লাইন খালি। এই সুযোগে রেল বিভিন্ন ধরনের মেরামতি ও রক্ষণাবেক্ষনের কাজ এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। এতে ট্রেনের গতি বাড়ানো যাবে। গতি বাড়ার কারণে স্টপেজ কম হওয়ায় গতির ক্ষেত্রে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।