NATO-র সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক রুট্টের দাবি উড়িয়ে দিল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। রাশিয়ার তেল কেনার জন্য আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের উপর জরিমানা আরোপ করায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বলেন ইউক্রেন নিয়ে "তাঁর কৌশল ব্যাখ্যা করতে", এমনই দাবি করেছেন মার্ক রুট্টে। যে দাবি "সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন" বলে উড়িয়ে দিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক।
এক বিবৃতিতে শুক্রবার মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, আশা করা হচ্ছে এ ধরনের মন্তব্য করার সময় NATO আরও দায়িত্বশীল হবে এবং "ঘটেইনি এমন কথোপকথন নিয়ে" জল্পনামূলক মন্তব্য "গ্রহণ করা হবে না"।
বিবৃতিতে মন্ত্রক আরও বলেছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে কথিত ফোনালাপ সম্পর্কে ন্যাটো মহাসচিব মিঃ মার্ক রুট্টের বিবৃতি আমরা দেখেছি। এই বক্তব্যটি বাস্তবিকভাবে ভুল এবং সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। যেভাবে বলা হয়েছে সেভাবে কখনোই প্রধানমন্ত্রী মোদি প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে কথা বলেননি। এমন কোনও কথোপকথন হয়নি। আমরা আশা করি ন্যাটোর মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব জনসাধারণের বিবৃতিতে আরও বেশি দায়িত্বশীলতা এবং নির্ভুলতা প্রয়োগ করবে। প্রধানমন্ত্রীর কর্মকাণ্ডকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে বা কখনও ঘটেনি এমন কথোপকথনের ইঙ্গিত দেয় এমন অনুমানমূলক বা অসাবধান মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়।
রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করা চলবে না বলে গত জুলাই মাসে হুঁশিয়ারি আসে NATO-র কাছ থেকে। ভারত, চিন, ব্রাজিলের মতো দেশকে সতর্ক করা হয়। বলা হয়, রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে গেলে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপানো হবে। রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ থামাতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপর চাপ সৃষ্টি করার নির্দেশও দেয় NATO. (Russia-Ukraine War)
NATO-র সেক্রেটারি জেনারেল এই হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, “চিনের প্রেসিডেন্ট হোন বা ভারতের প্রধানমন্ত্রী, অথবা ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট, রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে গেলে, তাদের কাছ থেকে তেল, গ্যাস কেনা চালিয়ে গেলে, আপনাদেরও বুঝতে হবে, মস্কোর ওই ব্যক্তি যদি শান্তিপ্রস্তাবে আমল না দেন, আমি কিন্তু ১০০ শতাংশ অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপাব।”
মার্ক আরও বলেন, “ওই তিন দেশকে বলব, বিশেষ করে যদি বেজিং অথবা দিল্লিতে থাকেন, বা ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হোন যদি, বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করুন। কারণ এতে জোর ধাক্কা লাগতে পারে। তাই বলব, ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করুন। বলুন শান্তিপূর্ণ আলোচনার প্রস্তাবকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে। অন্যথায় ব্রাজিল, ভারত এবং চিনের উপর কিন্তু ব্যাপক আঘাত নেমে আসবে।”