নিউ দিল্লি : ব্যবসায়ী নভনীত কার্লাকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল দিল্লির আদালত। তার বিরুদ্ধে অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের কালোবাজারি ও মজুত রাখার অভিযোগ ওঠে। রবিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
দিল্লির খান চাচা, টাউন হল এবং নেগে অ্যান্ড জু রেস্তোরাঁ থেকে ৫০০ অক্সিজেন কনসেনট্রেটর বাজেয়াপ্ত হওয়ার পর থেকে পলাতক ছিল নভনীত। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে তার খোঁজ চলছিল। গতরাতে দিল্লি পুলিশ তাকে পাকড়াও করে। তাকে পাঁচদিন হেফাজতে চেয়েছিল পুলিশ। কিন্তু, মেট্রোপলিট্যান ম্যাজিস্ট্রেট অর্চনা বেনিওয়াল তাকে তিন দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। আগামী ২০ মে তাকে ফের আদালতে পেশ করা হবে।
তদন্তকারী অফিসার কমল কুমার বলেন, পুরো কালোবাজারি চক্রের হদিস এবং আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি জানার জন্য নভনীত কার্লাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে।
আদালতে মামলার শুনানি চলাকালীন অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর অতুল শ্রীবাস্তব বলেন, এটা একটা ষড়যন্ত্রের বিষয়। এই ব্যবসায়ী পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। এটা গুরুতর মামলা। পুলিশ হেফাজত ছাড়া তদন্তকারী সংস্থা ষড়যন্ত্রের মূলে পৌঁছাতে পারবে না।
যদিও পুলিশ হেফাজতের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কার্লার তরফের আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেলের ব্যাঙ্কের তথ্য, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ এবং গ্যাজেট পুলিশের কাছে আছে। তাই তার পুলিশ হেফাজতের প্রয়োজন নেই। এর পাশাপাশি মেদান্তয় কার্লার চিকিৎসার দাবি জানানো হয়। তার চোয়াল ভেঙে যাওয়ায় সেলাইয়ের প্রয়োজন রয়েছে।
দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর ব্যবসায়ীকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
প্রসঙ্গত, অতিমারি পরিস্থিতিতে দিল্লিতে তীব্র অক্সিজেন সংকট দেখা দিয়েছে। দিনকয়েক আগে অক্সিজেনের অভাবে একাধিক রোগীর মৃত্যু দেখা গিয়েছে রাজধানীর বুকে। এই পরিস্থিতিতে অক্সিজেন কনেসেনট্রেটরের চাহিদা তুঙ্গে।
গত ১৩ মে আদালত ব্যবসায়ীর আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় এই বলে যে, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা গুরুতর। তাই পুরো ষড়যন্ত্রের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনতে তাকে হেফাজতে নেওয়া দরকার আছে।