মুম্বই: মহারাষ্ট্রে বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে এনসিপি কি শিবসেনাকে সমর্থন করবে? এই প্রশ্নের জবাব দিলেন স্বয়ং এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। তিনি বলেছেন, মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের জন্য তাঁদের দলের কাছে কোনও বিকল্প নেই। ভোটারদের রায় অনুসারে তাঁরা বিরোধী বেঞ্চেই বসবেন।
গত বৃহস্পতিবার বিধানসভা ভোটের পর শিবসেনা তাদের জোট শরিক বিজেপিকে পুরানো প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে ভাগাভাগির দাবি জানিয়ে বিজেপির ওপর চাপ বাড়িয়ে শিবসেনা। তারা বলেছে, দুই দলেরই আড়াই বছর করে সরকার চালানোর সুযোগ থাকা উচিত। অন্যদিকে, বিজেপি জানিয়েছে, আগামী পাঁচ বছর মহারাষ্ট্রে বিজেপিরই মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন।
শুক্রবার রাজ্যের নবনির্বাচিত শিবসেনা বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দলের প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। ওই বৈঠকেও দলের এই দাবি সম্পর্কে বিধায়কদের জানানো হয়েছে। ক্ষমতার সমান ভাগাভাগির দাবি জানিয়েছে শিবসেনা এবং এনিয়ে বিজেপির কাছ থেকে লিখিত প্রতিশ্রুতিও চেয়েছে তারা।
সূত্রের খবর, বৈঠকে উদ্ধব এও বলেছেন যে, তাঁদের সামনে আরও বিকল্প খোলা রয়েছে। তবে ওই বিকল্প খতিয়ে দেখার ব্যাপারে দল আগ্রহী নয়। কারণ, হিন্দুত্বের নীতিতে বিজেপি ও শিবসেনা একে অপরের শরিক।
দুই শরিকের চাপানউতোরের মধ্যে এনসিপির শিবসেনাকে কোনওরকম সমর্থন দেওয়ার সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছেন পাওয়ার।তিনি বলেছেন, আমাদের সামনে কোনও বিকল্প নেই। জনতা আমাদের বিরোধী আসনে বসতে বলেছে। মানুষের সেই রায় আমরা মেনে নিয়েছি।
এদিনই মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের সভাপতি বালাসাহেব থোরাট পুনে জেলার বারামতীতে পাওয়ার বাসভবনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয় সুলে এবং দলের নবনির্বাচিত বিধায়ক রোহিত পাওয়ারও বৈঠকে হাজির ছিলেন।
সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে ১০৫ আসনে জিতে বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি। শিবসেনা পেয়েছে ৫৬ আসন। এনসিপি ৫৬ এবং কংগ্রেস ৪৪ আসনে জিতেছে। সরকার গঠনের জন্য ২৮৮ সদস্যের বিধানসভায় ১৪৫ বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন। বিজেপি ও শিবসেনা জোটের হাতে এর চেয়ে বেশি আসন রয়েছে।