মুম্বই: হরিয়ানায় বিধানসভা ভোটের ফল ত্রিশঙ্কু হলেও ওই রাজ্যে নিজেদের ঘর গুছিয়ে নিয়েছে বিজেপি। জেজেপি-র সমর্থন নিয়ে হরিয়ানায় সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি। আগামীকাল রবিবার রাজ্যে দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেমেন মনোহরলাল খট্টর। অন্যদিকে, শিবসেনার সঙ্গে জোট বেঁধে মহারাষ্ট্রে ভোটে লড়ে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বিজেপি। ফলাফল ঘোষণার পর রাজ্যে সরকার গঠন নিয়ে দুই শরিক বিজেপি ও শিবসেনার মধ্যে টানাপোড়েন প্রকট হয়েছে। সরকার গঠনের আগে শর্ত দিয়ে পদ্মশিবিরের পথে কাঁটা বিছিয়ে রাখল শিবসেনা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদের আধাআধি ভাগ চেয়ে গৈরিক দলকে শর্ত দিয়ে রাখল শিবসেনা। তারা স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী পদের আধাআধি ভাগ নিয়ে বিজেপি ও দলের সভাপতি অমিত শাহকে লিখিতভাবে জানাতে হবে। এরপরই রাজ্যে সরকার গঠন হবে।
শিবসেনার নবনির্বাচিত বিধায়কদের সঙ্গে উদ্ধবের বৈঠকের পর দলের বিধায়ক প্রতাপ সরনায়েক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আমাদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, লোকসভা ভোটের আগে অমিত শাহজি যেমন ৫০-৫০ ফর্মুলার প্রতিশ্রতি দিয়েছিলেন, সেই মতো দুই শরিকেরই আড়াই করে সরকার চালানোর সুযোগ পাওযা উচিত। কাজেই শিবসেনারও মুখ্যমন্ত্রী থাকা উচিত। এ ব্যাপারে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে উদ্ধবজিকে লিখিত আকারে প্রতিশ্রুতি দেওয়া উচিত।
সরনায়েক বলেছেন, উপমুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা ঠিক করবেন দলের প্রেসিডেন্ট।একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার উদ্ধব ঠাকরেকে দিয়ে এক লাইনের একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন বিধায়করা।
শিবসেনার এই নেতা বলেছেন, নির্বাচনের সময় কিছু কারণে দল ওই ৫০-৫০ ফর্মুলা নিয়ে এগোতে পারেনি। কিন্তু এখন বিজেপির নির্বাচন-পূর্ববর্তী প্রতিশ্রুতি পালনের সময় এসেছে।
এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আথওয়ালে শিবসেনার প্রস্তাবকে সমর্থন করেছেন। তিনি বলেছেন, শিবসেনার সমর্থন ছাড়া বিজেপির পক্ষে সরকার গঠন সম্ভব নয়। তাই মুখ্যমন্ত্রী পদের আধাআধি ভাগ সংক্রান্ত শিবসেনার প্রস্তাব বিজেপির গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা উচিত। আথওয়ালে বলেছেন, ওই প্রস্তাব গ্রহণ না করলে বিজেপির অনন্ত বেশিসংখ্যক মন্ত্রী পদ দেওয়ার প্রস্তাব শিবসেনাকে দেওয়া উচিত। কংগ্রেসের সঙ্গে শিবসেনার হাত মেলানোর কোনও সম্ভাবনা নেই।


এদিকে, এদিন দুই নবনির্বাচিত নির্দল বিধায়ক আশিস জয়সওয়াল ও নরেন্দ্র ভোন্ডেকর উদ্ধবের সঙ্গে তাঁর বাসভবনে গিয়ে দেখা করেন। ওই বৈঠকের পর শিবসেনা দাবি করে, ওই দুই বিধায়ক তাদের দলকে সমর্থনের প্রস্তাব দিয়েছেন।
২৮৮ সদস্যের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিজেপি ১০৫ এবং তাদের শরিক শিবসেনা ৫৬ আসন পেয়েছে। অন্যদিকে, কংগ্রেস ও এনসিপি যথাক্রমে ৪৪ ও ৫৪ আসন পেয়েছে।