নয়াদিল্লি: রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেরোল বিজেপি নেতৃত্বাধীন NDA শিবির। উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভার সাংসদ হলেন বিজেপি-র ন'জন প্রতিনিধি। NDA শিবিরের অন্য দলের আরও দুই প্রতিনিধি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাংসদ নির্বাচিত হলেন। রাজ্যসভায় এই মুহূর্তে বিজেপি-র সাংসদ সংখ্যা হল ৯৬, NDA জোটের ১২১। অজিত পওয়ার নেতৃত্বাধীন ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি এবং রাষ্ট্রীয় লোকদলের একজন করে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। পাশাপাশি, ছয় মনোনীত সদস্য এবং একজন নির্দল সাংসদেরও সমর্থন রয়েছে NDA-র কাছে। (Rajya Sabha)


কংগ্রেসের এক প্রতিনিধিও উপনির্বাচনে রাজ্যসভায় জয়ী হয়েছেন। সবমিলিয়ে সংসদের উচ্চকক্ষে বিরোধী শিবির I.N.D.I.A জোটের সদস্য সংখ্যা এই মুহূর্তে ৮৫। রাজ্যসভায় মোট ২৪৫টি আসন রয়েছে। এখনও আটটি আসন শূন্য পড়ে রয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর থেকে চারটি এবং চারটি মনোনীত আসন। বর্তমানে রাজ্যসভায় মোট ২৩৭ জন সদস্য রয়েছে। সেই নিরিখে ম্যাজিক সংখ্যায় পৌঁছতে ১১৯ টি আসন পেতে হতো। (BJP-NDA Seats)


বিজেপি-র যে প্রতিনিধিরা রাজ্যসভার সাংসদ হলেন, তাঁরা হলেন, অসমের রঞ্জন দাস, রামেশ্বর তেলি, বিহারের মানন কুমার মিশ্র, হরিয়ানার কিরণ চৌধরি, মধ্যপ্রদেশ থেকে জর্জ কুরিয়ান, মহারাষ্ট্রের ধৈর্যশীল পাটিল, ওড়িশার মমতা মোহান্ত, রাজস্থানের রবনীত সিংহ বিট্টু, ত্রিপুরার রাজীব ভট্টাচার্য। অজিতের NCP থেকে মহারাষ্ট্রের নিতিন পাটিল এবং RLM-এর উপেন্দ্র কুশওয়াহা বিহার থেকে রাজ্যসভায় গিয়েছেন। কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি তেলঙ্গানা থেকে ফের সাংসদ হলেন। 


উপনির্বাচনের আগে পর্যন্ত রাজ্যসভায় NDA-র আসন সংখ্যা ছিল ১১০। এর মধ্যে ছয় মনোনীত এবং একজন নির্দল সাংসদও ছিলেন।  বর্তমানে ১২১ সদস্য হল তাদের। একক ভাবে রাজ্যসভায় বিজেপি-র সাংসদ সংখ্যা এই মুহূর্তে ৯৬, কংগ্রেসের ২৭।  পীযূস গয়াল, সর্বানন্দ সোনোয়াল এবং জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ারা লোকসভায় চলে যাওয়াতেই সম্প্রতি উপনির্বাচনের ঘোষণা হয় ১০টি আসনে। পাশাপাশি, তেলঙ্গানা এবং ওড়িশার একটি করে আসনেও হয় উপনির্বাচন।


রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার অর্থ, বিল পাসের জন্য বিজু জনতা দল, ওয়াই এস আর কংগ্রেস, ভারত রাষ্ট্র সমিতি এবং AIADMK-র মতো আঞ্চলিক দলগুলির উপর আর নির্ভর করতে হবে না NDA-কে। এই দলগুলি না NDA, না I.N.D.I.A, কোনও শিবিরেই শামিল হয়নি। তবে একাধিক ক্ষেত্রে বিল পাসের সময় সরকারকে বাইরে থেকে সমর্থন দিয়ে এসেছে। তবে এখন থেকে আর তাদের সমর্থনের প্রয়োজন পড়বে না নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহদের।