Nehru Museum Controversy: বদলে যাচ্ছে নাম। দিল্লিতে নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম ও লাইব্রেরির নতুন নামকরণ হচ্ছে 'প্রাইম মিনিস্টারস মিউজিয়াম অ্যান্ড সোসাইটি'। শুক্রবার সর্বভারতীয় এক ইংরেজি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে এই খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেহরু মিউজিয়ামটি সংস্কারের পর প্রধানমন্ত্রীর যাদুঘর হিসাবে উদ্বোধনের এক বছরেরও বেশি সময় পরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
Nehrus Name dropped: কারা এলেন নতুন সোস্যাইটিতে
বৃহস্পতিবার নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি সোসাইটির বৈঠকে জাদুঘর থেকে নেহরুর নাম বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালে কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, জয়রাম রমেশ ও করণ সিংকে সদস্য হিসাবে সরিয়ে সোস্যাইটি পুনর্গঠন করা হয়েছিল। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সোসাইটির চেয়ারপার্সন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকে এর ভাইস প্রেসিডেন্ট করা হয়েছে। অন্যান্য ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা যেমন নির্মলা সীতারমন, রমেশ পোখরিয়াল, প্রকাশ জাভড়েকর, ভি মুরালীধরন ও প্রহ্লাদ সিং প্যাটেলকেও সদস্য হিসাবে সোস্যাইটিতে আনা হয়েছে।
Nehru Museum Controversy: নবরূপে জাদুঘরে কী থাকবে ?
সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন রাজনাথ সিং। এক বিবৃতিতে নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি বলেছে, যে রাজনাথ সিং নাম পরিবর্তনের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এবার থেকে নতুন রূপে সাজানো জাদুঘরে দেশের সব প্রধানমন্ত্রীর অবদান রাখা হবে।
যদিও নতুন করে জাদুঘরের নাম পরিবর্তনের মধ্য়ে রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছে কংগ্রেস। এই বিষয়ে ট্যুইট করেছেন কমগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। টুইটারে তিনি লিখেছেন, এই সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর প্রতিহিংসা দর্শায়।
Nehrus Name dropped: কী ইতিহাস রয়েছে এর পিছনে ?
আগের নেহরু জাদুঘরটি দিল্লির তিন মূর্তি ভবনে ছিল। স্বাধীনতার পর এটি নেহরুর সরকারি বাসভবন হয়ে ওঠে। ১৯৬৪ সালে তাঁর মৃত্যুর কয়েক মাস পরে রাষ্ট্রপতি এস রাধাকৃষ্ণান ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর ৭৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়ামের উদ্বোধন করেছিলেন। এনএমএল সোসাইটি এই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা দেখার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
২০১৬ সালে মোদি দেশের সব প্রধানমন্ত্রীর অবদান সম্পর্কিত পুরনো গোছানো বস্তু ও প্রত্নবস্তু এই জাদুঘরে রাখার জন্য তা সংস্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেই সময় কংগ্রেস এই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছিল। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং মোদিকে এই বিষয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। সেই চিঠিতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, এই পদক্ষেপের আসল "এজেন্ডা" হল প্রতিষ্ঠানের "প্রকৃতি চরিত্র পরিবর্তন করা"। পরবর্তীকালে বিরোধিতা সত্ত্বেও, নেহেরু জাদুঘরটি গত বছরের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহালয় বা প্রধানমন্ত্রীর যাদুঘর হিসাবে উদ্বোধন করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন : EPFO Marriage Advance: বিয়ের খরচ মেটাবে EPFO! শুধু মানতে হবে এই শর্ত