কলকাতা: আলফা থেকে ডেল্টা-ওমিক্রন, কোভিড-১৯ এর সৌজন্যে সম্প্রতি একগুচ্ছ গ্রীক অক্ষর হঠাৎ করেই আমাদের জীবনে প্রবেশ করেছে। আক্ষরিক অর্থে অক্ষর হলেও এগুলি আসলে করোনা ভাইরাসের এক একটি প্রজাতি।  SARS-CoV-2 গোষ্ঠীর অন্তর্গত Covid-19 বর্তমানে গ্রাস করে রেখেছে বিশ্বকে। এদিকে, এরই মধ্যে জানা গিয়েছে আরেক ভাইরাসের নাম- নিওকোভ (NeoCoV)। 


কিন্তু যেটি জানার তা হল  NeoCoV করোনাভাইরাসের একটি নতুন রূপ নয় যা কোভিড-১৯ ঘটাতে পারে। তাই নয়া এই ভাইরাস নিয়ে আপাতত উদ্বিগ্ন হতে বারণ করেছেন গবেষকরা। NeoCoV হল MERS- CoV-এর একটি প্রজাতি। বৃহত্তর করোনভাইরাস পরিবারের অন্তর্গত এই MERS-CoV এবং SARS-CoV-2। ২০১০ সালে MERS-CoV সৌদি আরব, দক্ষিণ কোরিয়াতে ব্যাপক প্রাদুর্ভাবের সৃষ্টি করেছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, MERS-CoV সংক্রমণের রিপোর্ট করা রোগীদের প্রায় ৩৫% মারা গিয়েছিল। এই নিওকোভ MERS-CoV-এরই একটি রূপ। এটা কোনও নতুন ভাইরাস নয়। 



  • NeoCoV হল MERS-CoV-এর একটি প্রজাতি

  • NeoCoV কিছু প্রজাতির বাদুড়ের ACE2 (এক ধরনের কোষ যাকে জীববিজ্ঞানে রিসেপ্টর বলা হয়) ব্যবহার করে সংক্রমণ ঘটাতে পারে

  • NeoCoV T510F মিউটেশনের পরে মানুষের ACE2 কোষকে সংক্রমিত করতে পারে


আরও পড়ুন, ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝে চিনে পাওয়া গেল NeoCoV, নতুন রূপ নিয়ে সতর্ক করছেন বিজ্ঞানীরা



গবেষণা পত্রটি যা বলছে তা হল NeoCoV, যা এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র বাদুড়ের মধ্যে পাওয়া গেছে, যদি এটি একটি নির্দিষ্ট ধরণের মিউটেশনের মধ্য দিয়ে যায় তবে এটি মানুষকে সংক্রামিত করতে সক্ষম হতে পারে। দক্ষিণ আফ্রিকায় বাদুড়ের শরীরে সন্ধান পাওয়ার দাবি চিনের বিজ্ঞানীদের। উহানের একটি ওয়েবসাইটেও প্রকাশিত হয়েছে এই সংক্রান্ত গবেষণাপত্র। রাশিয়ার ভেক্টর রাশিয়ান স্টেট রিসার্চ সেন্টারেও এবিষয়ে বিবৃতি জারি করে বলেছে, ‘নিওকোভ সম্পর্কে চিনা গবেষকরা যে তথ্য পেয়েছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। করোনার এই নতুন প্রজাতি নিয়ে এখনই চিন্তার কিছু নেই। এ নিয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণা প্রয়োজন', জানিয়েছেন রাশিয়ান স্টেট রিসার্চ সেন্টারের বিজ্ঞানীরা।