নয়া দিল্লি: ওমিক্রনের উপ প্রজাতি হানার মাঝেই এবার মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (MERS)-এর একটি প্রজাতির আর্বিভাব হল চিনে। যে রূপের নাম ‘নিওকোভ’ (NeoCov)। চিনা বিজ্ঞানীদের দাবি, এই প্রজাতির মারণক্ষমতাও তুলনামূলক ভাবে বেশি। চিনের বিজ্ঞানীরা NeoCoV সম্পর্কে সতর্কতা জারি করেছেন ইতিমধ্যেই। 


২০১২ এবং ২০১৫ সালে প্রথম এই প্রজাতির খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকায় বাদুড়ের দেহে এর খোঁজ মেলে। বৃহস্পতিবারই রাশিয়ার ‘ভেক্টর রাশিয়ান স্টেট রিসার্চ সেন্টার অব ভাইরোলজি অ্যান্ড বায়ো-টেকনোলজি’-তে এ বিষয়ে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। গবেষণায় আবিষ্কার করা হয়েছে যে NeoCoV এর নিকটাত্মীয় হল করোনা। বাদুড়ের দেহে যেমন অ্যাঞ্জিওটেনসিন-কনভার্টিং এনজাইম 2 (ACE2) ব্যবহার করে এটি প্রবেশ করে। তেমনই মানবদেহে ACE2 ব্যবহার করে প্রবেশ করতে পারে এই ভাইরাস।


রাশিয়ান ওয়েবসাইট স্পুটনিকের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, প্রতি তিন সংক্রমিতের এক জনের মৃত্যু হতে পারে ‘নিওকোভ’- এ। উহানের একটি ওয়েবসাইটেও প্রকাশিত হয়েছে এই সংক্রান্ত গবেষণাপত্র। ভেক্টর রাশিয়ান স্টেট রিসার্চ সেন্টার অফ ভাইরোলজি অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিশেষজ্ঞরা নিওকোভ করোনাভাইরাস সম্পর্কে চিনা গবেষকরা যে ডেটা পেয়েছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই সময়ে, এটি মানুষের মধ্যে সক্রিয়ভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে।


তবে এখনও অবধি NeoCoV-এ সংক্রামিত হওয়ার কোনও ঘটনা ঘটেনি। বিজ্ঞানীরা এটি মানুষকে সংক্রামিত করতে পারে কিনা তা নির্ধারণের জন্য আরও গবেষণা করে দেখার কথা জানিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বলেছে, মিউটেশন এবং নতুন ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সনাক্ত করা হলেও বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। 


এদিকে, ঝড়ের যেন শেষ নেই। ব্রিটেনের তরফে জানান হয়েছে বিশ্বজুড়ে ওমিক্রন আবহের মাঝেই প্রায় ৪০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রনের আরও একটি উপপ্রজাতি। যাকে- 'চোরা ওমিক্রন' নাম দিয়েছে গবেষকরা। জিনোমিক সিকোয়েন্সসিং-এ ধরা পড়েছে এই নয়া সাব-স্ট্রেনটি। বলা হচ্ছে, এই 'চোরা ওমিক্রন'কে আরটি পিসিআর টেস্টেও ধরা যাচ্ছে না। ব্রিটিশ স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে নয়া বিএ.২ ভ্যারিয়েন্টটি নিয়ে ফের চিন্তা বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত গোটা বিশ্বে যত ওমিক্রন নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং হয়েছে, তার মধ্যে দেখা গিয়েছে যে ৯৯ শতাংশই বিএ.১ সাব-স্ট্রেন।