নয়াদিল্লি: চলে গিয়েও, নতুন রূপে ফিরে আসা বার বার। নোভেল করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে একথাই প্রযোজ্য। কারণ চরিত্র বদল করে আবারও নয়া রূপ ধারণ করল সে। করোনাভাইরাসের নয়া নাম XEC. ইউরোপে এই মুহূর্তে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে করোনার এই রূপ। শীঘ্রই করোনার অন্য রূপগুলিকে XEC ছাপিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেই নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে নতুন করে। (New Covid XEC Variant)


চলতি বছরের জুন মাসে প্রথমবার জার্মানিতে করোনার এই নয়া রূপ XEC-র হদিশ মলে। ক্রমে তা ব্রিটেন, আমেরিকা, ডেনমার্ক এবং অন্য দেশগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, XEC করোনার ওমিক্রনের বংশ। চরিত্রবদল করে শক্তি বাড়িয়েছে, যাতে শরৎকালেও সংক্রমণ ছড়ানোর সক্ষম হয়ে উঠেছে। এক্ষেত্রেও টিকা সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। (New Covid XEC Variant)


করোনার XEC রূপকে হাইব্রিড বলেও উল্লেখ করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি, ওমিক্রনের সাবভ্যারিয়েন্ট KS.1.1 এবং KP.3.3 এই মুহূর্তে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ইউরোপে। পোল্যান্ড, নরওয়ে, লাক্সেমবার্গ, ইউক্রেন, পর্তুগাল, চিন-সহ মোট ২৭টি দেশ থেকে ৫০০ নমুনা মিলেছে, যা EXC. এর মধ্যে ডেনমার্ক, জার্মানি, ব্রিটেন এবং নেদারল্যান্ডসে সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি। 



লন্ডনের জেনেটিক্স ইনস্টিটিউট অ্যাট ইউনিভার্সিটি কলেজের অধ্যাপক ফ্রাসোঁয়া বি জানিয়েছেন, আগের রূপগুলির তুলনায় আরও দ্রুত গতিতে ছড়ায় XEC. টিকা নেওয়া থাকলে ভাল। তবে এবছর শীতে XEC-র দাপট দেখা যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। এই সবে শুরু, আগামী কয়েক মাসে XEC ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন অন্যরাও। 


এক্ষেত্রে উপসর্গ নিয়ে সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলে মত বিজ্ঞানীদের। তাঁরা জানিয়েছেন, করোনার অন্য রূপগুলির মতো, এক্ষেত্রেও, জ্বর, গলাব্যথা, কাশি, ঘ্রাণশক্তি হারানো, ক্ষিদে চলে যাওয়া এবং শরীরে যন্ত্রণা হতে পারে। তাই টিকা এবং বুস্টার ডোজ নেওয়ার উপর জোর দিচ্ছেন তাঁরা। আমেরিকার সেন্টার্স ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন-এর তরফে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার আর্জি জানানো হয়েছে। মাস্ক পরতে বলা হয়েছে প্রয়োজনে। XEC-কে পর্যবেক্ষণ করছেন গবেষকরা, যাতে এর উপসর্গগুলি আরও ভাল ভাবে বোঝা সম্ভব হয়।