জম্মু ও কাশ্মীরের আলাদা রাজ্যের মর্যাদা বাতিল হওয়ার আগে সেখানকার বিধানসভা নির্ধারণ করতে পারত, রাজ্যের বাসিন্দা কে, সেই অনুসারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, যিনি নাগরিকের মর্যাদা পেতেন, সেখান চাকরির বা জমি-সম্পত্তি কেনার আবেদন জানাতে পারতেন।
এদিকে কেন্দ্রের জম্মু ও কাশ্মীরের ডমিসাইল ল নতুন করে নির্ধারণের সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন সম্প্রতি দীর্ঘদিন বন্দিদশা কাটিয়ে মুক্তি পাওয়া ওমর আবদুল্লা। ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময়কাল নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, এই আইন একেবারে ফাঁপা, কেননা যে রক্ষাকবচের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তা এতে নেই। তিনি ট্যুইট করেন, সময় নিয়ে সন্দেহ, সংশয় থাকবেই। যখন আমাদের যাবতীয় নজর, প্রয়াস থাকা উচিত কোভিড সংক্রমণ মোকাবিলায়, তখন সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের নতুন ডমিসাইল আইন নিয়ে এল। যখন দেখছি, যেসব সুরক্ষার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, সেগুলির কোনওটাই আইনে নেই, তখন এটা তো কাটা ঘায়ে নুনের ছিটের সমান।
জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নিশানা করেন সদ্যগঠিত আপনি পার্টিকে। বলেন, ওদের পিছনে দিল্লির আশীর্বাদ আছে। ওদের নেতারা এই আইনের জন্য দীর্ঘদিন দিল্লিতে লবি করেছে। কিন্তু সেই ওরাও নতুন ডমিসাইল আইনের সমালোচনা করতে বাধ্য হয়েছে। এতেই স্পষ্ট আইনটা কতটা সারগর্ভহীন।
যদিও নতুন আইনে বলা হয়েছে, রিলিফ অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন কমিশনার (মাইগ্র্যান্টস)-এর আওতাভুক্ত জম্মু কাশ্মীরে বসবাসকারী অভিবাসীরাও এই ডমিসাইল আইনের সুযোগ পাবেন। তাছাড়া ১০ বছর জম্মু কাশ্মীরে কর্মরত কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিক, পিএসইউ ও কেন্দ্রীয় সরকারের স্বশাসিত সংস্থাগুলির আধিকারিক, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও কেন্দ্রীয় সরকার স্বীকৃত রিসার্চ ইনস্টিটিউট আধিকারিকদের সন্তানদেরও এখানকার নাগরিক হিসেবে গণ্য করা হবে।