কলকাতা: নিউ মার্কেটের কাছে হোটেলের ঘর থেকে দেহ উদ্ধার। একই পরিবারের তিনজনের দেহ উদ্ধার। মা-বাবা ও ছেলের দেহ উদ্ধার। রবিবার হোটেলে এসে ওঠেন তাঁরা। এই দম্পতি ও তাঁদের ছেলে শিলিগুড়ির বাসিন্দা। আজ সকালে দরজা না খোলায় হোটেলের তরফে পুলিশকে জানানো হয়। নিউমার্কেট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দরজা খুলে দেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে ওই তিনজন আত্মহত্যা করেছেন বলেই অনুমান পুলিশের।


মৃতরা প্রত্যেকেই শিলিগুড়ির বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে ৷ সোমবার দুপুরে হোটেলে আসেন তাঁরা ৷ মৃতদের নাম সুশীল বনসল (৬৬), ছন্দাদেবী বনসল (৬০) এবং সুনীত বনসল (৪৫) ৷ রাতে খাওয়া দাওয়া করার পর থেকে হোটেলের রুমের দরজা বন্ধ ছিল ৷ মঙ্গলবার দুপুর গড়ানোর পরেও কেউ দরজা না খোলায় হোটেলকর্মীদের সন্দেহ হয় ৷ পুলিশ এসে দরজা ভেঙে তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে ৷


হোটেল কর্তৃপক্ষের দাবি মঙ্গলবার সকালে অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পর সাড়াশব্দ না পেয়ে  দরজা ভেঙে তিনজনের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তারা। এরপরেই পুলিশে খবর দেওয়া হয় । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখা এবং ফরেন্সিক টিম। দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হোটেলের ঘরের ভিতরে বোতলে বিষ পাওয়া গিয়েছে। মিলেছে একটি সুইসাইড নোটও। পুলিশের অনুমান ব্যবসার কারণে বাজারে প্রচুর দেনা হয়ে যাওয়ার কারণেই আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বনসল পরিবার।


শিলিগুড়িতে একটি আবাসনে থাকতেন বনশলরা। সেই আবাসন সূত্রে খবর, ছেলের চিকিৎসার জন্য প্রথমে বেঙ্গালুরু যান বনশল দম্পতি। মেফেয়ার গার্ডেন আবাসনের ম্যানেজার সুশান্ত ঘোষ জানান, ‘‘দেড় মাস ধরে ছিলেন না। আমি দেখেছি ব্যাঙ্কের লোক মাঝে মাঝে আসত। লোনের সমস্যা থাকতে পারে ৷’’ বনশল পরিবারের আত্মীয় ও পরিজনদের খোঁজ করতে শুরু করেছে পুলিশ।