নয়াদিল্লি: রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা করলেন স্বপন দাশগুপ্ত। পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন চেয়ারম্যানের কাছে।


তারকেশ্বরে দলের রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। ট্যুইটে তাঁর সাংসদপদ বাতিলের দাবি তুললেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।


কৃষ্ণনগরের সাংসদের দাবি, সংবিধানের দশম তফসিলে উল্লেখ আছে, রাজ্যসভার কোনও মনোনীত সদস্য, শপথগ্রহণের ৬ মাস পর যদি কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেন, তাহলে তাঁর সাংসদপদ বাতিল হয়ে যায়।  


মহুয়ার দাবি, স্বপন দাশগুপ্ত ২০১৬-র এপ্রিলে শপথ নেন। এখন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁর রাজ্যসভার সাংসদপদ বাতিলের দাবি তুলেছেন মহুয়া।  


এদিকে স্বপন দাশগুপ্তর প্রার্থী হওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ বিজেপির একাংশের। সিঙ্গুর, হরিপাল, উত্তরপাড়ার পর এবার তারকেশ্বরে বিজেপি প্রার্থী বদলের দাবি ঘিরে প্রকাশ্যে এল গোষ্ঠীকোন্দল।


দলীয় প্রার্থী স্বপন দাশগুপ্তকে মানতে নারাজ আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি গণেশ চক্রবর্তী। জেলা সভাপতির বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।


বিক্ষুদ্ধ বিজেপি নেতার দাবি, স্বপন দাশগুপ্তর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায় না। হেরে গেলে তিনি দিল্লি চলে যাবেন। আর মার খাব, জেল খাটব আমরা। তারকেশ্বরে তাঁকে প্রার্থী করা হলে ২০ হাজারের বেশি ভোটে জিতবেন বলেও দাবি করেছেন বিক্ষুদ্ধ বিজেপি নেতা।


দল যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটাই সঠিক, এখানে ব্যক্তিগত মতামত মূল্যহীন, প্রতিক্রিয়া বিজেপি জেলা নেতৃত্বের। স্বপন দাশগুপ্তর প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। 


শুধু তারকেশ্বর নয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর বিধানসভাতেও বিজেপি প্রার্থী বদলের দাবিতে বিক্ষোভ। অগ্নীশ্বর নস্করকে বদলের দাবিতে এদিন দলের জেলা কার্যালয়ের সামনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।


বিক্ষুদ্ধদের দাবি, মাসছয়েক আগে সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া অগ্নীশ্বর নস্করের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে টিকিট বণ্টনে দুর্নীতি হয়েছে বলে বিক্ষুদ্ধ বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ।


প্রার্থী বদল নিয়ে গোষ্ঠীকোন্দলের কথা স্বীকার করে বিজেপি জেলা নেতৃত্বের দাবি, বিষয়টি দলের রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে।