কলকাতা: পঞ্জাব হাইকোর্টের নির্দেশে নিউটাউন শ্যুটআউটে নিহত গ্যাংস্টার জয়পাল ভুল্লারের দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হলো। এরপরও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলছে জয়পালের পরিবার। তাদের প্রশ্ন, রিপোর্টে লেখা হয়েছে নিহত গ্যাংস্টারের দেহে ২২টা আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কিন্তু ওই রিপোর্টের শেষে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনও শারীরিক অত্যাচার হয়নি।
রিপোর্ট একটাই। অথচ তার এক জায়গায় লেখা, শরীরে ২২টি আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। অন্য জায়গায় উল্লেখ, কোনও শারীরিক অত্যাচার হয়নি। কিন্তু কেন? দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে এই প্রশ্নই তুলছে, নিউটাউনে এনকাউন্টারে নিহত গ্যাংস্টার জয়পাল ভুল্লারের পরিবার। নিহত জয়পাল ভুল্লারের বাবা ভূপিন্দর সিং ভুল্লার বলেন, একদিকে বলা হচ্ছে কোনও টরচার হয়নি। আবার লেখা রয়েছে ২২টি ইনজিওরি মার্কস। কীভাবে? সেই প্রশ্নই তুলছেন পঞ্জাব পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত সাব-ইন্সপেক্টর।
৯ জুন, নিউটাউনে সাপুরজির সুখবৃষ্টি আবাসনে, এসটিএফ-এর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছিল পঞ্জাবের গ্যাংস্টার জয়পাল ভুল্লার ও তাঁর শাগরেদ যশপ্রীত সিং খাড়ারের। পরের দিন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হয় দু’জনের। আগেই ভুয়ো এনকাউন্টারে জয়পালকে হত্যার অভিযোগ তোলে তার পরিবার। এরপর নিহত জয়পালের মৃতদেহ পঞ্জাবে নিয়ে যায় তাঁর পরিবার। কিন্তু প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সন্তুষ্ট না হওয়ায়, ফের ময়নাতদন্তের দাবি জানিয়ে পঞ্জাব হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ভুল্লারের পরিবার। হাইকোর্ট রাজি না হলে মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। শেষে সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয় পঞ্জাব হাইকোর্ট।
কিন্তু সেই রিপোর্ট হাতে পেয়েও সন্তুষ্ট হতে পারেনি নিহত গ্যাংস্টারের পরিবার। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট চাপ দিয়ে তৈরি করানো হয়েছে বলে অভিযোগ ভূপিন্দর সিং ভুল্লারের। তিনি বলেন, সিস্টেমে চাপের মধ্যে দিয়ে রিপোর্টটি করা হয়েছে। পঞ্জাবের ফিরোজপুরে আজই শেষকৃত্য হবে গ্যাংস্টার জয়পালের। অন্যদিকে, নিউটাউনে গ্যাংস্টারদের গুলিতে জখম এসটিএফের ইন্সপেক্টর কার্তিকমোহন ঘোষ ১৪ দিন পর আজ সল্টলেক আমরি থেকে ছাড়া পান।