নয়া দিল্লি: শ্রদ্ধা ওয়ালকারকাণ্ড যেন দেশজুড়ে। লিভ-ইন পার্টনারের একের পর এক খুন নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ইতিমধ্যেই। দিল্লির নাজফগড়ে প্রেমিকাকে প্রথমে ডেটা কেবল দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে ধাবার ফ্রিজে রেখে দেওয়া হয়। ২৫ বছরের নিক্কি যাদবের দেহ দেখে চমকে উঠেছিল পুলিশ। মৃত্যু তদন্ত শুরু হতে এবার চমক আরেক তথ্যে। পুলিশ জানিয়েছে, পরিবারের সঙ্গে ছক কষে এই খুন করেছিলেন সাহিল গেহলট।
সংবাদসংস্থা এএনআইকে পুলিশ জানিয়েছে, সাহিলের বাবার সঙ্গে পুলিশ পরিবারের আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। মনে করা হচ্ছে, নিক্কিকে খুনের নেপথ্যে রয়েছেন তাঁরাও। স্পেশাল সিপি রবীন্দ্রর যাদব বলেন, 'দিল্লি পুলিশ এখনও পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে।
জানা গিয়েছে, ২০২০-এ নয়ডার একটি মন্দিরে গিয়ে বিয়ে সেরেছিলেন নিক্কি-সাহিল। যদিও সাহিলের বাড়িতে এই বিয়ে এবং সম্পর্কে মান্যতা দেওয়া হয়নি। বরং তাঁরা সাহিলের সঙ্গে অন্য একটি মেয়ের বিয়েও ঠিক করে ফেলে। তদন্তে জানা যায়, নিক্কি জানতেনই না যে তাঁর সঙ্গী আরেকজনের সঙ্গে বাগদান সেরে ফেলেছেন। তবে সাহিলের বিয়ের ঠিক এক দিন আগে এই খবর জানতে পেরেছিলেন নিক্কি। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তিনি একাই ফ্ল্যাটে ফিরছেন। এর কয়েক ঘণ্টা পরই খুন হয়েছেন নিক্কি। এরপর সাহিলের অন্য মহিলাকে বিয়ে করা নিয়ে প্রায় তিন ঘন্টা ধরে তাঁরা গাড়ির মধ্যেই ঝগড়া করে।
আরও পড়ুন, ভালবাসার এমন 'চরম পরিণতি'? প্রেমের সপ্তাহেই প্রেমিকদের হাতে নৃশংস মৃত্যু মেঘা-নিক্কির
ঝগড়ার তীব্রতা যত বাড়তে থাকে ততই ক্রোধে উন্মত্ত হয়ে ওঠেন সাহিল। এরপর তিনি চার্জিং কেবল ব্যবহার করে নিকিকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন। কিন্তু খুনের পর তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। যে ধাবাটি তাঁর পরিবার চালাত সেই ধাবার ফ্রিজের মধ্যে নিক্কির নিথর দেহ রেখে দেন।
প্রেমের সমীকরণ বিঘ্ন ঘটার পরই ক্ষোভ-বিদ্বেষ থেকে এমন কাণ্ড বলেই প্রাথমিক ধারণা তাঁদের। ২০১৮ সালে সাহিল ও নিক্কির পরিচয়। একসঙ্গে পড়াশোনা করার মাঝে পরচিয় গড়ায় প্রেমে। তারপর দুজনে দিল্লিতে লিভ ইন করতেও শুরু করে। দুজনে একাধিক জায়গায় ঘুরে বেড়ানোর ছবি তথ্য প্রমাণ হিসেবেও মিলেছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান গত ৮ বা ৯ ফ্রেব্রুয়ারি খুন করা হয়েছে নিক্কিকে। কয়েকদিন ধরে নিক্কির খোঁজ না পেয়ে তাঁর কয়েকজন বান্ধবী পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। যারপরই সামনে আসে মেরুদণ্ডে ঠান্ডা স্রোত বইয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা।