নয়াদিল্লি: শুক্রবার ভোরে নির্ভয়া মামলার দোষীদের ফাঁসিতে ঝোলানোর আগে নতুন চমক। চার অপরাধীর আইনজীবী এ পি সিংহ বুধবার দিল্লির আদালতে গেলেন মৃত্যুদণ্ডে স্থগিতাদেশ চেয়ে। তিনি দোষী পবন গুপ্তার হয়ে সুপ্রিম কোর্টে কিউরেটিভ পিটিশন দিয়েছেন, আরেক দোষী অক্ষয় সিংহের হয়ে ক্ষমাভিক্ষার পিটিশনও পেশ করেছেন বলে জানিয়েছেন।
পবনের পক্ষ থেকে জমা দেওয়া কিউরেটিভ পিটিশনে দাবি করা হয়েছে যে, সে গণধর্ষণের ঘটনার সময় নাবালক ছিল।
অক্ষয় গতকাল রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে দ্বিতীয় প্রাণভিক্ষার আবেদন করে। বাকি তিনজনের সঙ্গে তার প্রথম প্রাণভিক্ষার পিটিশনটিও প্রত্যাখ্যান করেছেন কোবিন্দ।
এ পি সিংহের বক্তব্য শুনে বিচারক বলেন, সবসময়ই আপনি একেবারে শেষ মূহূর্তে আদালতে আসেন। বিচারপতি তিহার জেল কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে। ওখানেই আছে চার দোষী। কাল বিষয়টির শুনানি হবে। দোষীদের একজনের দ্বিতীয় প্রাণভিক্ষার আবেদনটি এখনও বিচারাধীন রয়েছে বলে সওয়াল করেন তিনি। অতিরিক্ত দায়রা বিচারক ধর্মেন্দ্র রানা আবেদনের ব্যাপারে তিহার জেল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশকে নোটিস দেন।
আজ দিল্লি হাইকোর্টে অন্যতম অপরাধী মুকেশ সিংহের পিটিশনেরও শুনানি হয়। মুকেশ পিটিশনে দাবি করেছে, সে ২০১২র ১৬ ডিসেম্বরের ধর্ষণের সময় ঘটনাস্থল দিল্লিতে ছিলেনই না। কিন্তু রায় স্থগিত রেখেছেন বিচারপতি ব্রিজেশ শেঠি। আজ তিনি মুকেশ ও দিল্লি সরকারের কৌঁসুলিদের বক্তব্য শোনেন। নিম্ন আদালতে মুকেশের চাঞ্চল্যকর দাবি আগেই নাকচ হয়ে যায়। আদালত বার কাউন্সিলকে বলেছিল, আবেদনকারীর আইনজীবীকে যথাযথ অবহিত করতে হবে আইনি প্রক্রিয়া সম্পর্কে।
গত ৫ এপ্রিল নিম্ন আদালত ২০ মার্চ ভোর ৫টায় চার দোষীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেয়।