নয়াদিল্লি: নতুন সর্বভারতীয় কার্যনির্বাহী  সভাপতি চয়ন করল বিজেপি। জেপি নাড্ডার জায়গায় দায়িত্ব গ্রহণ করতে চলেছেন নিতিন নবীন। এখন থেকেই তিনি কার্যভার গ্রহণ করবেন বলে জানা গিয়েছে। নবীন বর্তমানে বিহারে নীতীশ কুমার সরকারের সড়ক নির্মাণ মন্ত্রী। (Nitin Nabin)

Continues below advertisement

বিজেপি-র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিংহ এদিন নবীনের নিযুক্তির ঘোষণা করেন। দলের সংসদীয় বোর্ডের অনুমতিক্রমেই নবীনকে কার্যনির্বাহী সভাপতি নিযুক্ত করা হল। (BJP National Working President)

অরুণ যে বিবৃতি প্রকাশ করেন, তাতে বলা হয়, ‘বিজেপি-র সংসদীয় বোর্ড শ্রী নিতিন নবীনকে ভারতীয় জনতা পার্টির কার্যনির্বাহী সভাপতি নিযুক্ত করেছে’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও নবীনকে অভিনন্দন জানান। 

Continues below advertisement

নবীনের প্রশংসা করে মোদি সোশ্য়াল মিডিয়ায় লেখেন, ‘শ্রী নিতিন নবীনজি একজন কর্মঠ কার্যকর্তা হিসেবে নিজের পরিচিতি গড়ে তুলেছেন। উনি তরুণ এবং পরিশ্রমী, সংগঠনের অভিজ্ঞতাও বেশ ভাল। বিহারের বিধায়ক এবং মন্ত্রী হিসেবে ভাল কাজ করছেন, পাশাপাশি, মানুষের কল্যাণে সঁপে দিয়েছেন নিজেকে। বিনম্র স্বভাবের নিতিন মাঠে ময়দানে কাজ করার জন্যই পরিচিত। আমার বিশ্বাস, ওঁর কর্মশক্তি ও নিষ্ঠা আগামী দিনে দলকে আরও মজবুত করবে। বিজেপি-র কার্যনির্বাহী সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার জন্য ওঁকে অভিনন্দন’।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লেখেন, 'বিজেপি যুব মোর্চার সর্বভারতীয় মহাসচিব পদ হোক বা বিহারে যুবমোর্চার সভাপতি, সংগঠনের দায়িত্ব নিষ্ঠা এবং সাফল্যের সঙ্গে পালন করেছেন উনি। বিহারের পাঁচবারের বিধায়ক এবং রাজ্যে সরকারের মন্ত্রী হিসেবে দীর্ঘ সময় কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। আজ উনি যে সর্বভারচীয় কার্যকরী সভাপতি হলেন, তাতে দিনরাত পরিশ্রম করে চলা, দলের তরুণ কর্মীদেরই সম্মান জানানো হল'।

বিহারের পাঁচ বারের বিধায়ক নবীন। তিনি কায়স্থ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। নাড্ডার জায়গায় এবার দলের কার্যভার সামলাবেন তিনিই। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি নিযুক্ত হন নাড্ডা। কার্যকালের মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও এতদিন দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন তিনি। বরং বার বার তাঁর কার্যকালের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছিল। 

রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘ সংযোগ নবীনের। তাঁর বাবা নবীন কিশোর প্রসাদ সিনহাও বিজেপি-র শীর্ষস্তরের নেতা হিসেবে গণ্য হতেন। ২০০৬ সালে বাবার মৃত্যুর পর রাজনীতিতে সক্রিয়তা বাড়ে নবীনের। এবার একেবারে গুরুদায়িত্ব পেলেন। বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি হওয়ার আগে কার্যনির্বাহী সভাপতি হিসেবে আসীন ছিলেন নাড্ডাও। তাই পরবর্তীতে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি হওয়ার দৌড়েও নিতিন এগিয়ে রইলেন বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।