নয়াদিল্লি: বাংলা এবং বিহারের অংশ নিয়ে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবি তুলেছেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। লোকসভায় তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক, যার প্রভাব পড়ল বিজেপি নেতৃত্বাধীন NDA জোটেও। বিহারে নীতীশ কুমারের দল সংযুক্ত জনতা দল JD(U)-ও এ নিয়ে আপত্তি তুলেছে। আর সেই আবহেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন NITI আয়োগের বৈঠকে গেলেন না নীতীশ। (Nitish Kumar) তাঁর এই অনুপস্থিতি নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রে নীতীশ কুমারকে সঙ্গী করেই তৃতীয় বারের জন্য সরকার গড়েছেন মোদি। নীতীশকে খুশি করতে কেন্দ্রীয় বাজেটে বিহারের জন্য বিপুল বরাদ্দের ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু নিশিকান্তের বক্তব্য সেই বোঝাপড়ায় ফাটল ধরিয়েছে। তাঁর মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে নীতীশের দল। (NITI Aayog)
JD-U-এর সর্বভারতীয় সম্পাদক রাজীব রঞ্জন শনিবার নিশিকান্তের মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, "নিশিকান্ত দুবে কয়েকটি রাজ্যের কিছু জেলাকে নিয়ে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চাইছেন। উনি যা করছেন, তা অবাস্তব, বালখিল্যপনা এবং অজ্ঞতার পরিচয়। এই ধকনের মন্তব্য খবরের শিরোনামে জায়গা পেলেও, গুরুত্ব পায় না। এই ধরনের মন্তব্যে শুধু উত্তেজনা ছড়ায়।"
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: NITI আয়োগের বৈঠকে চরম অপমান! মাঝপথেই বেরিয়ে এলেন মমতা
আর এই আবহেই শনিবার দিল্লিতে NITI আয়োগের বৈঠকে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন নীতীশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া বিজেপি বিরোধী I.N.D.I.A সব মুখ্যমন্ত্রীই ওই বৈঠক বয়কট করেন। কিন্তু নীতীশের অনুপস্থিতি সকলের নজর কেড়েছে। জানা গিয়েছে, বিজেপি এবং তাদের শরিক শাসিত সব রাজ্য়ের মুখ্যন্ত্রীকে বৈঠকে অংশ নিতে বলা হয়েছিল। নীতীশ তার পরও কেন বৈঠকে থাকলেন না, উঠছে প্রশ্ন। বিহারের তরফে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধরি এবং বিজয় কুমার সিনহা বৈঠকে যোগ দেন, যাঁরা দু'জনই বিজেপি-র সদস্য।
বৃহস্পতিবার সংসদে বাংলা ও বিহারে-র পাঁচ জেলা নিয়ে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠনের দাবি জানান নিশিকান্ত। সেই নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তৃণমূল-সহ বিরোধী শিবিরের নেতা-নেত্রীরা। বাংলাভাগের চক্রান্ত চলছে বলে বিজেপি-কে তীব্র আক্রমণ করেন সকলে। নিশিকান্ত বিহারের জেলা ভাঙার কথা বলাতে এবার নীতীশও কি ক্ষুণ্ণ হলেন? উঠছে প্রশ্ন। এ নিয়ে JD-U কিছু জানানো হয়নি যদিও। কিন্তু দিল্লির রাজনৈতিক মহলে জোর পাচ্ছে জল্পনা।