নয়াদিল্লি: বন্ধুদের আড্ডায় বিদেশি স্কচের মৌতাত এবার বোধহয় শেষ  হতে চলেছে। কেন্দ্রীয় সরকার তাদের ৪,০০০ মিলিটারি দোকানকে বিদেশি জিনিসপত্র আমদানি করতে বারণ করল। তার মানে বিদেশি মদও আর এভাবে এ দেশে মিলবে না।


ভারতীয় সেনার ক্যান্টিনে বিদেশি মদ, ইলেকট্রনিক্স ও অন্যান্য জিনিসপত্র সস্তায় কেনার সুবিধে পান সেনা, প্রাক্তন সেনাকর্মী ও তাঁদের পরিবারের লোকজন। মিলিটারি দোকানে বছরে বিক্রি হয় ২০০ কোটি ডলারের বেশি, দেশের অন্যতম বড় রিটেল চেন। কিন্তু জানা যাচ্ছে, এ মাসের ১৯ তারিখ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক নির্দেশ দিয়েছে, এই দোকান সরাসরি বিদেশ থেকে কোনও জিনিস আর আমদানি করতে পারবে না। সেনা, বায়ুসেনা ও নৌবাহিনীর সঙ্গে মে ও জুলাই মাসে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্থানীয় জিনিসপত্রকে তুলে ধরার ওপর যে জোর দিচ্ছেন, তার ভিত্তিতেই নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত।

তবে ঠিক কোন কোন জিনিসের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হবে তা নির্দেশে বলা হয়নি। যদিও শোনা যাচ্ছে, বিদেশি মদ এই তালিকায় ঠাঁই পাবে।

সেনার দোকানগুলিতে মোট বিক্রির ৬ থেকে ৭ শতাংশ হয় বিদেশ থেকে আনা জিনিসপত্র। সেগুলির মধ্যে বেশিরভাগ চিনা জিনিস, যেমন ডায়াপার, ভ্যাকুয়াম ক্লিনার, হাতব্যাগ, ল্যাপটপ ইত্যাদি। লাদাখ সংঘর্ষের পর চিনা ব্যবসা ও বিনিয়োগ রুখতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে ভারত। জানা গিয়েছে, জুন থেকে বিখ্যাত বিদেশি স্কচ সংস্থাগুলিতে ভারতের দোকান থেকে বিদেশি মদের অর্ডার পাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেনার দোকানে বিদেশি মদ বিক্রি হয় বছরে প্রায় ১ কোটি ৭০ লক্ষ ডলার, ফলে এই নির্দেশ নেতিবাচক সঙ্কেত দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।