ইসলামাবাদ: পাকিস্তানে চিনা কোম্পানিগুলিতে অফিস চলাকালে মুসলিম কর্মীদের নামাজ পাঠে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এক মুসলিম ধর্মগুরুর এই অভিযোগ সংক্রান্ত একটি বিস্ফোরক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় সামনে এসেছে। ভিডিওতে তাঁকে এই নির্দেশের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পাকিস্তানিদের আর্জি জানাতে দেখা গিয়েছে। তিনি বলেছেন, চিনা কোম্পানিগুলিকে সাফ জানিয়ে দিতে হবে যে, স্থানীয় আইন মানতে তারা বাধ্য, বুঝিয়ে দিতে হবে, এই দেশ তাদের নয়।
ভিডিওতে ওই ধর্মগুরুকে বলতে শোনা গিয়েছে, আমরা নামাজ উপেক্ষা করতে পারি না। লোকে চাকরি হারানোর ভয় পাচ্ছে। কিন্তু এখন এটা আমাদের আত্মমর্যাদার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চিন পাকিস্তানের সর্বসময়ের বন্ধু হিসেবে পরিচিত। সে দেশে দীর্ঘমেয়াদি লগ্নি ও স্বার্থ রয়েছে চিনের। এমন পরিস্থিতিতে এই ভিডিও ঘিরে জল্পনা, শোরগোল চলছে।
পাকিস্তানে চিনা কোম্পানিগুলিতে ইসলামি রীতিনীতি, প্রথা সম্পর্কে কড়াকড়ি ও নিজেদের দেশে মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর আগ্রাসী দমননীতি পাক জনমতের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
জিনজিয়াং প্রদেশের কারামে শহরে দাড়ি রাখা লোকজন ও বোরখা পরা মহিলাদের গণ পরিবহণ ব্যবহারে জি জিনপিং সরকারের নিষেধাজ্ঞা ঘিরে ইতিমধ্যেই মুসলিম বিশ্বের রোষের মুখে পড়েছে চিন। গণ পরিবহণ ব্যবস্থায় ইসলামি প্রতীক তারা ও অর্ধচন্দ্র ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
চিনে মুসলিমদের প্রতি বৈষম্য বাড়ছে বলে অভিযোগ। দেশের অভ্যন্তরে এই নীতির ফলাফল বিতর্কিত। যদিও স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৪-তে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের নেতৃবৃন্দকে চিনের জনগোষ্ঠীর ওপর উইঘুরদের আক্রমণ সম্পর্কে উদ্বেগের কথা জানিয়েছিল বেজিং। কাবুল ও ইসলামাবাদ চিনের কমিউনিস্ট পার্টির অনুরোধ অনুসারে, উত্তরাঞ্চলের সীমান্ত নজরদারির আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। যদিও ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা সংক্রান্ত নীতির ফলে পাকিস্তানি ও আফগান জনগণ থেকে চিনের বিচ্ছিন্ন হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে।