নয়াদিল্লি: দিল্লির নিজামুদ্দিনে অনুষ্ঠিত তবলিঘি জামাতের ধর্মীয় সমাবেশ ও আনন্দ বিহার বাস টার্মিনালে প্রচুর লোকের জমায়েতের ব্য়াপারে দিল্লি পুলিশই দৈনিক ভিত্তিতে তদন্ত করছে, সিবিআই তদন্তের দরকার নেই বলে সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র। দিল্লি পুলিশ কী কী পদক্ষেপ করেছে, তা বিস্তারিত জানিয়ে শীর্ষ আদালতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বলা হয়, নিম্ন আদালতে চার্জশিট পেশ করতে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্য়ে তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করার জন্য সর্বাত্মক প্রয়াস চালাচ্ছে দিল্লি পুলিশ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এহেন বক্তব্যের পাল্টা হলফনামা জমা দিতে পিটিশনার সুপ্রিয়া পন্ডিতাকে অনুমতি দিয়ে দু সপ্তাহ বাদে বিষয়টির পরবর্তী শুনানি স্থির করেছে প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে ও বিচারপতিদ্বয় এ এস বোপান্না ও হৃষিকেশ রায়কে নিয়ে গঠিত সর্বোচ্চ আদালতের বেঞ্চ।
পিটিশনার তাঁর আবেদনে দেশব্য়াপী লকডাউন ঘোষিত হওয়ার পর আনন্দ বিহার বাস টার্মিনাল ও নিজামুদ্দিন মারকাজে প্রচুর লোকের জমায়েতের ব্যাপারে সিবিআই তদন্ত সহ বেশ কিছু পদক্ষেপের দাবি করেছেন। দিল্লি পুলিশ ওই জনতাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থ হয়েছিল, নিজামুদ্দিন মারকাজ প্রধান মৌলানা সাদ আজও গ্রেফতারি এড়িয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
পাল্টা দিল্লি পুলিশের গৃহীত পদক্ষেপগুলি বিস্তারিত উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক হলফনামায় দাবি করে, মারকাজের সমাবেশের ব্যাপারে দিল্লি পুলিশ আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে
রোজ তদন্ত করছে, সময়সীমার মধ্যেই তদন্ত শেষ করে ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১৭৩ ধারায় রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য যাবতীয় প্রয়াস করছে তারা। সুতরাং এই তথ্য ও পারিপার্শ্বিকতার পরিপ্রেক্ষিতে রিট পিটিশনে সিবিআই তদন্তের দাবি বিবেচনার কোনও যুক্তি নেই, তা খারিজ করা হোক।
প্রসঙ্গত, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য মারকাজের ধর্মীয় সমাবেশ দায়ী বলে অভিযোগ উঠেছিল।