রাঁচি: ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচনের ফলগণনার মধ্যেই সবার নজর বাবুলাল মারান্ডি, সুদেশ মাহাতোর ওপর। এক্সিট পোলে ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হওয়ার ইঙ্গিত ছিল। আজকের গণনায় গতিপ্রকৃতি সেদিকেই। সত্যিই ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হলে বাবুলালের ঝাড়খন্ড বিকাশ মোর্চা বা সুদেশের অল ঝাড়খন্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন বিজেপি না কংগ্রেস-জেএমএম জোট, কাকে সমর্থন করে, তার ওপরই রাজ্যের ভবিষ্যত নির্ধারিত হবে। তাঁরাই সম্ভাব্য কিংমেকার, বলছেন রাজনৈতিক ভাষ্যকারেরা। সেই প্রেক্ষাপটেই বিজেপি বাবুলালের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বলে খবর। তারা কথা বলছে আজসুর সঙ্গেও।
ত্রিশঙ্কু পরিস্থিতিতে কংগ্রেস-জেএমএম, না বিজেপি, কাকে সমর্থন করবেন, প্রশ্ন করা হলে বাবুলাল বলেন, রাজনীতিতে কেউই অস্পৃশ্য নয়। আগে পুরো ফল বেরক। মানুষের রায় মেনে নেওয়া উচিত। সর্বশেষ খবর, মুখ্যমন্ত্রী জামশেদপুর পূর্বে পিছিয়ে আছেন, আজসু সভাপতি সুদেশ মাহাতো সিল্লি থেকে এগিয়ে আছেন। ধানোয়ারে এগিয়ে বাবুলাল। কংগ্রেস-জেএমএম জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হেমন্ত সোরেন দুমকায় পিছিয়ে থাকলেও এগিয়ে আছেন বারহাইত কেন্দ্রে।
২০১৪-য় বিজেপি-আজসু জোট ৪২টি আসনে জিতেছিল। কিন্তু এবার বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে একাই ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আজসু সভাপতি সুদেশ।