নয়াদিল্লি: ডোনাল্ড ট্রাম্পের সর্বশেষ কাশ্মীর প্রশ্নে মধ্য়স্থতার প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান ভারতের। দাভোসে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ফের কাশ্মীর ইস্যু উত্থাপন করা নিয়ে মিডিয়ার প্রশ্নের উত্তরে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রভীশ কুমার কাশ্মীর প্রশ্নে তৃতীয় পক্ষের মধ্য়স্থতার কোনও জায়গা নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
বলেছেন, দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে যে কোনও আলোচনা অবশ্যই হওয়া উচিত ভারত, পাকিস্তানের মধ্যে।
বৃহস্পতিবারের নির্ধারিত সাপ্তাহিক সাংবাদিক বৈঠকে মুখপাত্রটি হিংসা ও সন্ত্রাসবাদ মুক্ত আলোচনার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরির দায়িত্ব পাকিস্তানেরই বলে জানিয়ে দেন। বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্য়ে যদি কোনও দ্বিপাক্ষিক ইস্যুতে আলোচনার প্রয়োজন হয়, তবে তা দুটি দেশের মধ্যে সিমলা চুক্তি ও লাহোর ঘোষণাপত্র মেনেই হওয়া উচিত। কিন্তু হিংসা, সন্ত্রাস, শত্রুতা মুক্ত ইতিবাচক আলোচনার আবহাওয়া তৈরির দায়িত্ব পাকিস্তানের। অতীতেও এধরনের বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছি আমরা। কাশ্মীর ও তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের প্রশ্নে আমাদের অবস্থান খুব পরিষ্কার ও ধারাবাহিক। ফের বলছি, এখানে কোনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার জায়গাই নেই।
ট্রাম্প মঙ্গলবার বলেন, কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যা যা হচ্ছে, সব গভীর ভাবে নজরে রাখছে আমেরিকা। ফের তিনি কাশ্মীর ইস্যু সমাধানে সাহায্যের প্রস্তাব দেন। এটি তাঁর চার নম্বর সাহায্যের প্রস্তাব।
বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ফের পাকিস্তানকে নিশানা করেন, বলেন, ওদের দ্বিচারিতা ধরা পড়ে গিয়েছে গোটা বিশ্বের কাছে। পাকিস্তানের কাশ্মীরে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের উপ স্থায়ী প্রতিনিধি নাগরাজ নাইডুও আন্তর্জাতিক মঞ্চে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তোলায় পাকিস্তানকে আক্রমণ করে বলেন, মাছ যেমন জলে থাকে, তেমনই একটি প্রতিনিধিদল ফের ঘৃণাভরা বক্তৃতা দিয়েছে। যখনই এরা বক্তব্য পেশ করে, ঘৃণার বিষ ছড়ায়, পাহাড়সদৃশ মিথ্যা ভাষণ দেয়। ক্রোধ, বিদ্বেষ ছড়ানো হুঙ্কার দেওয়া বন্ধ করার বদলে ওরা মিথ্যা ভাষ্যে ইন্ধন দেয়, আন্তর্জাতিক মহলকে সত্য জানায় বাধা দেয়।