নিউ ইয়র্ক : আশঙ্কা থেকে স্বস্তি। মায়ের দুধ থেকে ক্ষতি হবে না শিশুর।'ল্যাকটেটিং ওম্যান' বা স্তনদায়ী মহিলারা ভ্যাক্সিন নিলে চিন্তার কিছু নেই। এমনই তথ্য উঠে এসেছে এক সাম্প্রতিক গবেষণায়।
সব আশঙ্কার অবসান। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া স্যান ফ্রান্সিসকো (UCSF)-এর গবেষণা বলছে, কোভিডের টিকা নিলেও মায়ের দুধ ক্ষতি করবে না শিশুর। সম্প্রতি কোভিডের টিকা গ্রহণকারী স্তনদায়ী ও গর্ভবতী মহিলাদের নিয়ে একটি গবেষণা করে UCSF-এর গবেষকরা। যাতে সাতজন স্তনদায়ী মহিলার দুধ পরীক্ষা করা হয়। মূলত, কোভিড ভ্যাক্সিনের ডোজ মায়ের দুধ থেকে শিশুদের শরীরে পৌঁছচ্ছে কিনা জানতে চান গবেষকরা।যাচাই পর্বের পর দেখা যায়, mRNA যুক্ত মোদেরনা বা ফাইজার ভ্যাক্সিনের কোনও নমুনা নেই দুধে।
সম্প্রতি 'জামা পেডিয়াট্রিকস'-এ প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাপত্র। যা স্তনদায়ী মায়েদের কাছে একটা স্বস্তির খবর। শিশুদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে অনেক ভ্যাক্সিনেটেড মহিলাই বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানো বন্ধ করে দিয়েছিলেন। যদিও এই রিপোর্ট প্রকাশ পাওয়ার পর দুশ্চিন্তা মুক্ত হবেন তাঁরা। তবে আগেই গর্ভবতী বা স্তনদায়ী মহিলাদের এই বিষয়ে আশ্বস্ত করেছিল ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন(WHO)। শিশুদের দুধ খাওয়ান এমন মহিলাদের ভ্যাক্সিন নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
একই কথা বলেছিল 'অ্যাকাডেমি অফ ব্রেস্ট ফিডিং মেডিসিন'। সংস্থার তরফে বলা হয়, ভ্যাক্সিনের ন্যানো পার্টিকেলস মহিলাদের স্তনে যাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। তাই মায়ের দুধ থেকে তা শিশুদের শরীরে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।এ প্রসঙ্গে UCSF-এর অধ্যাপক স্তেফানি এল গাও বলেন, '' আমাদের এই গবেষণা প্রমাণ করে দিল mRNA যুক্ত ভ্যাক্সিন স্তনদায়ী মহিলাদের জন্য নিরাপদ। কোভিডের ভ্যাক্সিন গ্রহণকারী মায়েরা নিশ্চিন্ত শিশুদের দুধ খাওয়াতে পারেন।''
২০২০ সালের ডিসেম্বরে প্রথম শুরু হয় এই গবেষণা। সিদ্ধান্তে আসতে ২০২১-এর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় নেন গবেষকরা। পরীক্ষার ক্ষেত্রে মায়েদের গড় বয়স ছিল ৩৭.৮ বছর। শিশুদের বয়স ছিল ১ মাস থেকে তিন বছর। ভ্যাক্সিন নেওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পর বিভিন্ন সময়ে দুধের নমুনা পরীক্ষা করে গবেষকরা। অবশেষে গবেষকরা ঘোষণা করেন, ভ্যাক্সিন নেওয়া মায়ের দুধ শিশুর পক্ষে নিরাপদ।