স্টকহোম: এ বছর চিকিৎসাবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পেলেন হার্ভে জে অল্টার, চার্লস এম রাইস এবং মাইকেল হাউটন। এঁরা হেপাটাইটিস সি-র জীবাণু আবিষ্কার করেছেন।


৩ বৈজ্ঞানিকের মধ্যে অল্টার ও রাইস আমেরিকান, হাউটন ইংরেজ। এক বিবৃতিতে লোবেল অ্যাসেম্বলি জানিয়েছে, হেপাটাইটিস সি জীবাণু বিচ্ছিন্ন করা জীবাণুবাহিত রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অসামান্য সাফল্যের প্রতীক। এর ফলে নির্দিষ্ট একটি পরীক্ষা পদ্ধতি তৈরি হয়েছে, যাতে বিশ্বজুড়ে এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করা সম্ভব হয়।

অল্টার তাঁর গবেষণা চালিয়েছেন আমেরিকার বেথেস্ডার ইউএস ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অফ হেলথে। রাইস গবেষণা করতেন সেন্ট লুইয়ের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে, তারপর চলে যান নিউ ইয়র্কের রকেফেলার বিশ্ববিদ্যালয়ে। মাইকেল হাউটন ক্যালিফোর্নিয়ার চিরন কর্পোরেশনে ছিলেন, এখন রয়েছেন কানাডার আলবার্টা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

আশির দশকের শেষে হেপাটাইটিস সি রোগের কথা জানতে পারেন চিকিৎসক ও বৈজ্ঞানিকরা। বিজ্ঞানীরা দেখতে পান, বিশ্বে মোট হেপাটাইটিস আক্রান্ত রোগীর মধ্যে খুব অল্প সংখ্যকের মধ্যেই রক্তের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে হেপাটাইটিস বি জীবাণু, অথচ হেপাটাইটিস এ রক্তের মাধ্যমে ছড়ায় না, ছড়ায় ঘনিষ্ঠভাবে অসুস্থের সংস্পর্শে এলে। চার্লস রাইস গবেষণা করে প্রমাণ করেন, হেপাটাইটিস সি একাই দুরারোগ্য হেপাটাইটিসের কারণ হতে সক্ষম। চিকিৎসা না হলে এই অসুখ প্রাণহানি ঘটাতে পারে। প্রথমে এতে লিভার আক্রান্ত হয়, তারপর শুরু হয় সিরোসিস বা ভয়ঙ্কর লিভার ফেলিওর। শেষে ক্যানসার।

করোনা আবহে ঘোষিত হল চিকিৎসাবিদ্যায় এ বছরের নোবেল পুরস্কার, এর ফলে বিজ্ঞান ও চিকিৎসা গবেষণার উপযোগিতা আর একবার প্রমাণিত হল বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে।