সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: দশমীর রাতে এক ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগে তাঁর বন্ধুকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সেইসঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে ৩ ভাড়াটে খুনিকেও। টাকা ফেরত নিয়ে বিবাদের জেরে এই ঘটনা বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। উত্তর ২৪ পরগনার বাসুদেবপুরের ঘটনা। 


নিহতের মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে খুনের কিনারা।  খুনের অভিযোগে নিহতের বন্ধুকে গ্রেফতার করল পুলিশ। উত্তর ২৪ পরগনার বাসুদেবপুরের ঘটনা।  দশমীর দিন থেকে নিখোঁজ ছিলেন রতন রায় নামে এক ব্যক্তি। একাদশীর দিন তাঁর দেহ উদ্ধার হয় বাসুদেবপুর থানার রথতলা এলাকায়।  


তদন্তে নামে বাসুদেবপুর থানা। পুলিশ সূত্রে খবর, খতিয়ে দেখা হয় মৃতের মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন। তার থেকেই জানা যায়,  দশমীর রাতে কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন রতন। সেই সব জায়গায় গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে অভিযুক্তদের হদিশ পায় পুলিশ। এরপরই জাল গুটিয়ে ফেলতে পুলিশের সুবিধে হয়। 


রতনকে খুনের অভিযোগে তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধু দেবাশিস দাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, রতনকে শ্যামনগরের একটি গেস্ট হাউসে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়। ৩ জন ভাড়াটে খুনিকে কাজে লাগায় দেবাশিস, এমনটাই অভিযোগ।  প্রথমে শ্বাসরোধ করে, তারপর মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। ওই ৩ ভাড়াটে খুনিকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 


পুলিশ সূত্রে দাবি, গেস্ট হাউসের কর্মীদের চোখে ধুলো দিতে গভীর রাতে রতনের দেহ দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় দুপাশ থেকে ধরে নামায় চারজনে। তারপর বাইকে ২ জনের মাঝখানে রতনের দেহ বসিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় রথতলায়। সেখানেই ফেলে দেওয়া হয় দেহ।  


গেস্ট হাউসের ম্যানেজার রাজীব ঘোষের কথায়, ৩ ঘণ্টার জন্য ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। যেভাবে ধরে নিয়ে যাচ্ছিল, আমাদের মনে হয় বেশি মদ খেয়ে ফেলেছে তাই ওই অবস্থা। বাইকেও দুজনের মাঝখানে বসিয়ে নিয়ে যায়।


কেন খুন? খুনের মোটিভ কী? পুলিশ সূত্রে খবর, সুদের কারবার ছিল রতনের। দেবাশিসের ছিল হোম ডেলিভারির ব্যবসা। রতনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা ধার নিয়েছিল দেবাশিস। সম্প্রতি সেই টাকা ফেরতের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন রতন। সেই কারণেই রতনকে খুনের ছক কষা হয় বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। শুধুই কি টাকার জন্য খুন, নাকি ঘটনার পিছনে অন্য কারণও থাকতে পারে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।