জয়পুর: জয়পুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্স (নিমস) হাসপাতালকে নোটিস দিয়ে কেন তারা নোভেল করোনাভাইরাস সংক্রমিতদের ওপর রামদেবের পতঞ্জলী আয়ুর্বেদের তৈরি ওষুধ করোনিল-এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করেছে, ব্যাখ্যা চাইল রাজস্থানের স্বাস্থ্য দপ্তর। জয়পুরে চিফ মেডিকেল অ্যান্ড হেলথ অফিসার ডঃ নরোত্তম শর্মা বলেছেন, তিনদিনের মধ্যে জবাব চেয়ে বুধবার সন্ধ্যায় নোটিস দেওয়া হয় ওই হাসপাতালকে। রাজ্য় সরকারকে এ ব্যাপারে জানায়নি বা অনুমতিও চায়নি হাসপাতাল। তাদের জবাবের অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা।
মঙ্গলবার যোগগুরু রামদেব সাতদিনে ১০০ শতাংশ করোনাভাইরাস সারানোর ক্ষমতা আছে বলে দাবি করে ‘করোনিল’ ও ‘সশরী’ নামে ওষুধের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করার সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রক তার পরীক্ষা প্রক্রিয়া সংক্রান্ত সব তথ্য চেয়ে পাঠায়, সেগুলি খতিয়ে দেখা পর্যন্ত এটি করোনাভাইরাস সারানোর ওষুধ বলে প্রচারও নিষিদ্ধ করে।
আয়ুষ মন্ত্রকের অনুমোদন ছাড়া রাজ্যে ওই ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না বলেও জানিয়ে দেয় রাজস্থান সরকার। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রঘু শর্মা বুধবারই জানিয়ে দেন, করোনাভাইরাস সারানোর অস্ত্র বলে যে কোনও বিক্রি করলেই আইনমাফিক ব্য়বস্থা নেওয়া হবে বিক্রেতার বিরুদ্ধে।
পতঞ্জলীর দাবি, করোনিল তাদের আরেকটি প্রোডাক্টের সঙ্গে খেলে ১০০ শতাংশ কাজ হয় বলে লাইফ সাপোর্টের বাইরে থাকা করোনা সংক্রমিতদের ওপর ক্লিনিকাল পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে। রামদেব জানান, জয়পুরের বেসরকারি সংস্থা নিমস-এর সঙ্গে একযোগে কাজ করে ওষুধটি তৈরি করেছে হরিদ্বারের পতঞ্জলী রিসার্চ সেন্টার।
উত্তরাখন্ড সরকার জানিয়েছে, আগে জ্বর-কাশি মোকাবিলায় প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানোর ওষুধ তৈরির লাইসেন্সের আবেদন করে কোভিড-১৯ সারাবে বলে দাবি করে ওষুধ তৈরি করায় পতঞ্জলীকে নোটিস দেবে তারা। হরিদ্বারের সংস্থাটির বিরুদ্ধে তাদের দাবির প্রেক্ষিতে মুজফফপুরের আদালতেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে। আদালতের কাছে রামদেব ও পতঞ্জলীর চেয়ারম্যান আচার্য্য বালকৃষ্ণের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার অনুমতি চেয়েছেন জনৈক ব্যক্তি। কোভিড-১৯ সারানোর ওষুধ বের করে ফেলার দাবি করে লাখ লাখ মানুষকে তারা বিপদে ঠেলে দিচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ। ৩০ জুন বিষয়টির শুনানি হওয়ার কথা।