নয়াদিল্লি: করোনা প্রতিরোধে ৯০ শতাংশ কার্যকরী নোভাভ্যাক্স ভ্যাকসিন। শেষ পর্যায়ের ট্রায়ালে এই দাবি করল সংস্থা। শুধু তাই নয়, তাদের দাবি, করোনাভাইরাসের নতুন প্রজাতির সঙ্গে লড়াইয়েও সক্ষম এই ভ্যাকসিন। 


আজ, সোমবার একটি বিবৃতি জারি করে সংস্থা জানিয়েছে, ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে যাঁরা অংশ নিয়েছেন তাঁদের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, করোনা সংক্রমণে প্রতিরোধী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে এই ভ্যাকসিন। তারা উল্লেখ করেছে নোভাভ্যাক্স ভ্যাকসিন যাঁদের উপসর্গ রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ কার্যকরী। সামান্য উপসর্গ যাঁদের রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ কার্যকরী। তারা আরও জানিয়েছে,  করোনার নতুন প্রজাতির থেকে সংক্রমণ রুখতে ৯৩ শতাংশ কার্যকরী এই ভ্যাকসিন। শেষ ধাপের ট্রায়ালে এই ফল পাওয়া গিয়েছে বলে সোমবার দাবি করেছে নোভাভ্যাক্স।


সংস্থা জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মেক্সিকোর প্রায় ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক এই ট্রায়ালে অংশ নিয়েছিলেন। তাদের দাবি, আমেরিকায় করোনার বিভিন্ন প্রজাতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সক্ষম এই ভ্যাকসিন। সংস্থা জানিয়েছে, এর আগে ব্রিটেনে ১৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের উপর এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হয়েছিল। সেখানেও একই ফল মিলেছিল নোভাভ্যাক্সের রিসার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্রধান ডা. গ্রেগরি গ্লেন সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ব্রাজিল, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভাইরাসের যেসব প্রজাতির হদিশ পাওয়া গিয়েছে, সেই সব ক’টিকে প্রতিহত করতে সক্ষম এই টিকা। তিনি আরও জানিয়েছেন, যাঁদের উপসর্গ রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ এবং যাঁদের সামান্য উপসর্গ রয়েছে তাঁদের ১০০ শতাংশ কার্যকরী এই ভ্যাকসিন। সংস্থার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার স্ট্যানলি সি ইরক বলেন, বিশ্বের এই কঠিব পরিস্থিতিতে এবার কাজ করার জন্য আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল নোভাভ্যাক্স।


সংস্থা আগে জানিয়েছিল, সেপ্টেম্বর মাসের আগে ভ্যাকসিন ব্যবহারে ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করবে না তারা। বর্তমানে প্রতি মাসে ১০০ মিলিয়ন ডোজ তৈরির করার মতো পরিকাঠামো তৈরি হয়েছে বলে তারা জানিয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যেই প্রতি মাসে ১৫০ মিলিয়ন ডোজ তৈরি সম্ভব হবে বলে দাবি সংস্থার। নোভাভ্যাক্স জানিয়েছে, তাদের টিকার দুটি ডোজের সময়ের ব্যবধান হবে তিন সপ্তাহ। এই টিকা ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যাবে।