এছাড়াও, বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামের বিধায়কের নামে পোস্টার পড়েছে বাঁকুড়ার তালড্যাংরা বাজারেও।
দাদার অনুগামীদের নামে এই পোস্টার দেওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বাঁকুড়া বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিপত্তারণ সেনের দাবি, তৃণমূল দলটা দুর্নীতিতে ভরে গেছে। তাই এই দলে কেউ থাকতে চাইছেন না। তৃণমূলের একাংশ বিক্ষুব্ধ হয়ে দাদার অনুগামী সেজে পোস্টার দিচ্ছে। বিজেপিতে আসার চেষ্টা করছে। তবে তাঁর বক্তব্য উড়িয়ে বাঁকুড়ার তৃণমূল কংগ্রেস তালড্যাংরা ব্লক সভাপতি মনসারাম লায়েকের দাবি, এলাকার মানুষ পোস্টার দেয়নি। রাতের অন্ধকারে বাইরে থেকে এসে পোস্টার দেওয়া হয়েছে। বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কেউ নেই। সবাই একসঙ্গেই কাজ করে। দাদার অনুগামী বলে কিছু নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সব।
৭ ডিসেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুরে সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, তার ঠিক আগের দিন রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করবেন শুভেন্দু । তেমনটাই শোনা যাচ্ছে। গোটা রাজ্যের নজর সেদিকেই। তা নিয়ে এখন জল্পনা তুঙ্গে।
এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার দুই মেদিনীপুরে পরপর অরাজনৈতিক কর্মসূচিতে হাজির থাকলেন তিনি। ক্ষুদিরাম বসুর ১৩২-তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে পদযাত্রা করলেন জাতীয় পতাকা নিয়ে। ক্ষুদিরামের মূর্তি উন্মোচন করলেন গড়বেতায়। মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার করলেন বারবার। তবে একবারের জন্যও রাজনীতির কথা মুখে না এনে শুধু বললেন, আমি বাংলার ছেলে, সব সময় মানুষের পাশে থেকেছি।
এদিন তমলুকের হাসপাতাল মোড়ে ক্ষুদিরাম বসুর মূর্তিতে মালা দেন শুভেন্দু। এরপর জাতীয় পতাকা কাঁধে শুরু করেন পদযাত্রা। বলেন, কনস্টিউশন বলে, সরকার বাই দ্য পিপল ফর দ্য পিপল, আমি মানুষের জন্য কাজ করছি, আমি নন্দীগ্রাম, জঙ্গলমহল, নেতাই, সব সময় মানুষের পাশে থেকেছি। তমলুক থেকে রওনা দিয়ে চন্দ্রকোনা রোড হয়ে গড়বেতায় পৌঁছন তিনি। গড়বেতার বিবেক মোড়ে, স্বামী বিবেকানন্দর মূর্তিতে মালা দেন শুভেন্দু। এরপর গড়বেতা সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডের কাছে ক্ষুদিরামের মূর্তি উন্মোচন করেন। সেখান থেকে গড়বেতা গার্লস হাইস্কুলে যান সদ্য মন্ত্রিত্বত্যাগী শুভেন্দু। গড়বেতা ক্ষুদিরাম বসু স্মৃতিরক্ষা কমিটির উদ্যোগে সেখানে সভার আয়োজন করা হয়েছিল। অরাজনৈতিক মঞ্চ। কিন্তু, জেলা তৃণমূলের অনেক পরিচিত মুখকেই দেখা গেল শুভেন্দুর পাশে।