কলকাতা: আধারের বায়োমেট্রিক তথ্য চুরি করে প্রতারণা রুখতে অবশেষে পদক্ষেপ। ব্যাঙ্কগুলিকে আঙুলের ছাপ দিয়ে আধার যাচাই করে টাকা তোলার ব্যবস্থা বন্ধের নির্দেশ দিল ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (National Payments Corporation of India)। তবে গ্রাহক চাইলে এই সুবিধা চালু রাখতে ব্যাঙ্কের কাছে আবেদন করতে পারেন। এনপিসিআই-এর এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে ব্যাঙ্ক বাঁচাও দেশ বাঁচাও মঞ্চ।


ব্যাঙ্ক বাঁচাও দেশ বাঁচাও- সংগঠনের তরফে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (Reserve Bank of India) গভর্নরকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছিল। ইদানিং সারা ভারতে আধার তথ্য, বায়োমেট্রিক তথ্য চুরি করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সাফ করার অভিযোগ উঠেছে। সাধারণ-দরিদ্র বহু নাগরিক এই প্রতারণা চক্রের শিকার হয়েছেন। এই বিষয়টি নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল সংগঠনের তরফে। সংগঠনের তরফে দাবি ছিল, এর ফলে সাধারণ জনমানসে প্রবল ভীতির সঞ্চার হচ্ছে। ব্যাঙ্কের প্রতি সাধারণ গ্রাহকদের বিশ্বাসেও ধাক্কা খাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তাঁরা। নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার সময় e-kyc ব্যবহার করা, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার লিঙ্ক করার মতো বিষয়গুলির বিরোধিতা করা হয়। এর সঙ্গেই বেশ কিছু পরামর্শও দেওয়া হয়েছিল সংগঠনের তরফে।   


তাঁদের দাবি ছিল, ব্যাঙ্কগুলিকে (Bank) যেন নির্দেশ দেওয়া হয় যাতে গ্রাহকদের তারা অ্যাকাউন্ট (Account Openning) খোলার সময় আধার কার্ড দিতে বাধ্য না করে।


যে গ্রাহকরা আধার ডি-লিঙ্ক (De-Link Aadhaar) করাতে চান, তাঁদের যেন সেটা করতে দেওয়া হয়। কোনওভাবেই যেন চাপ সৃষ্টি না করা হয়।


e-KYC প্ল্যাটফর্মে অ্যাকাউন্ট খোলার কাজ যেন বন্ধ করা হয়। কারণ তাতে আধার বায়োমেট্রিক (Aadhaar Biometric) ব্যবহার হচ্ছে। তার বদলে অন্য ঠিকানা-নথির মাধ্যমে যেন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার কজা শুরু হয়।


তাদের আরও দাবি ছিল, যেন AEPS -এর মাধ্যমে নগদ তোলার সিস্টেম ডিফল্ট (Default) না করা হয়। একমাত্র কোনও গ্রাহক নিজে থেকে এই সুবিধা চালু করতে চাইলে, তবেই যেন এই সুবিধা চালু করা হয়। এই দাবিই মেনে নেওয়া হয়েছে। NPCI বা  ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া  AEPS এর মাধ্যমে টাকা তোলার ব্যবস্থা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বলে জানাচ্ছেন ব্যাঙ্ক বাঁচাও দেশ বাঁচাও কমিটির যুগ্ন কনভেনর সৌম্য দত্ত এবং বিশ্বরঞ্জন রায়।


আরও পড়ুন: ধান চাষে মিলবে সাহায্য, খরচ কমবে সারে ; উপকারী ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কার বিশ্বভারতীর উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের