হায়দরাবাদ: জাতীয় নাগরিক পঞ্জি(এনআরসি)-র প্রথম পদক্ষেপ হল জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জি (এনপিআর)। এমনটাই দাবি করলেন আসাদউদ্দিন ওয়েইসি।
এমআইএম সাংসদ বলেন, ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন অনুসারে এনপিআর করা হচ্ছে। তা হলে এটা কি জাতীয় নাগরিক পঞ্জি বা এনআরসি-র সঙ্গে যুক্ত নয়? কেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশবাসীকে ভুল বোঝাচ্ছেন? সংসদে দাঁড়িয়ে অমিত শাহ বলেছিলেন সারা দেশে এনআরসি হবে। যতদিন সূর্য পূর্ব দিকে উঠবে আমরা সত্যিটা বলে যাব।
ওয়েইসির কথায়, এনআরসি-র প্রথম পদক্ষেপ হল এনপিআর। আগামী বছরের এপ্রিল থেকে যখন এনপিআর হবে, তখন আধিকারিকরা নথি চাইবেন। যার ভিত্তিতে তৈরি হবে এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা।  গতকালই এনপিআর-এর সঙ্গে এনআরসি-র কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেন অমিত শাহ। পাশাপাশি আসাদউদ্দিন ওয়েসি-কে কটাক্ষ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অমিত বলেন, ওয়েইসির অবস্থান নিয়ে আমি অবাক হইনি। যদি আমরা বলি সূর্য পূর্বদিকে ওঠে, তাহলে তিনি বলবেন, তা পশ্চিম দিক দিয়ে উদয় হয়। আমরা ওয়েইসিকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, এনপিআর ও এনআরসি দুটি ভিন্ন বিষয়। একে অপরের সঙ্গে কোনও যোগ নেই। গতকালই, ২০২১ সেনসাসের জন্য ৮,৭৫৪ কোটি টাকা এবং এনপিআর-এর জন্য ৩,৯৪১ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র।
যদিও, অমিত শাহকে ফের একবার কটাক্ষ করেন ওয়েইসি। বলেন, আমি স্বীকার করি যে অমিত শাহ আমার থেকে বেশি শিক্ষিত। তাই, নিজের মন্ত্রকের ২০১৮-১৯ বার্ষিক রিপোর্টের ১৫ নম্বর অধ্যায়ের ৪ নম্বর ধারা পড়া উচিত অমিতের। সেখানে অমিত শাহের মুখের কথাতেই বলা হয়েছে, এনআরসি-র প্রথম ধাপ হল এনপিআর। মন্ত্রকের তরফে এই তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়েও অমিত শাহকে আক্রমণ করেন ওয়েইসি। বলেন, কারা উত্তরপ্রদেশে ১৮ জনকে হত্যা করল? এটা নিয়ে কোনও নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত নয় কি? অবশ্যই হওয়া উচিত। ৫,৪০০ জন জেলবন্দি। প্রধানমন্ত্রীর উচিত মুখ খোলা। প্রধানমন্ত্রীর উচিত এক নিরপেক্ষ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া। সত্যি কথা বলা যদি অপরাধ হয়ে থাকে, তাহলে ওরা আমাকে গুলি করুক!