ভেলোর: ফের প্রশ্নের মুখে চিকিৎসা ব্যবস্থা। উঠছে চিকিৎসায় গাফিলতির ভয়ঙ্কর অভিযোগ। নার্সের অসাবধানতায় এবার আঙুল বাদ গেল এক সদ্যোজাতের। আর এই ঘটনার পরই ফের প্রশ্নের মুখে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা। কাঠগড়ায় ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্মন্ন এক নার্স।
কী অভিযোগ উঠেছে? অভিযোগ, অস্ত্রোপচারের সময় মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় ওই নার্স এক সদ্যজাতের ডান হাতের বুড়ো আঙুল কাঁচি দিয়ে কেটে ফেলেন। এই ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর ভেলোর সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
জানা গিয়েছে, গত ২৪ মে জন্ম নেয় মুল্লিপালায়ারমের বাসিন্দা বিমলরাজ ও নিবেথার সন্তান। নবজাতকের বাবা মায়ের অভিযোগ, গ্লুকোজ সুই বদলানোর জন্য শিশুর হাতের টেপ খোলার সময় নার্স তার সন্তানের বুড়ো আঙুল কেটে দেয়।
শিশুর বাবা দাবি করেছেন, অস্ত্রোপচারের সময়েও নার্স মোবাইল ফোনে কথাই বলে যাচ্ছিলেন, ফলে নিজের দায়িত্বের প্রতি তার কোনও খেয়াল ছিল না। কর্তব্যরত সিনিয়র নার্সের অবহেলার ফলে হাতের আঙুল কাটা পড় ওই সদ্যোজাতের, এই অভিযোগই তুলেছে পরিবার।
নার্সের কীর্তি প্রকাশ্যে আসতেই সাড়া পড়ে যায় হাসপাতালে। খবর পেয়েই শিশুটিকে জরুরি অস্ত্রোপচারের জন্য তড়িঘড়ি চেন্নাইয়ের স্ট্যানলি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গোটা ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ভেলোরের জেলাশাসক সুব্বালক্ষ্মী ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। জেলাশাসক জানিয়েছেন, যদি প্রমাণ মেলে যে ওই নার্সের ফোন ব্যবহারের জন্যি এই কাণ্ড ঘটেছে তাহলে তাকে সর্বোচ্চ সাজা পেতে হবে। তাঁর মতে, এই প্রক্রিয়ায় কাঁচির প্রয়োজন হয় না এবং খালি হাতেই বিষয়টি করা যেত। গোটা ঘটনাটি নিয়ে একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত চলছে বলে সূত্রের খবর।
একজন সিনিয়র নার্স, যার ১৫ বছরের এই পেশায় অভিজ্ঞতা রয়েছে, তিনি কীভাবে এই কাজ করলেন, সেই গাফিলতির অভিযোগ উঠছে। নবজাতকের বাবা বিমলরাজের আরও অভিযোগ, দুর্ঘটনার একঘণ্টা পরেও সন্তানকে দেখতে দেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।